শুয়োপোকার হানায় আক্রান্ত ধানজমি

শুয়োপোকার আক্রমণে আক্রান্ত হাইলাকান্দি জেলার বিস্তীর্ণ ধানি জমি। কয়েকশো একর জমির ধান ইতিমধ্যেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধানের শীষ বের হওয়ার এই সময় ঝাঁক ঝাঁক শুয়োপোকা ধান খেতে হানা দিয়ে খেয়ে নিচ্ছে ধান গাছটাই। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় মাথায় হাত চাষিদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাইলাকান্দি শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৪০
Share:

ক্ষতিগ্রস্ত ধান খেত। ছবি: অমিত দাস

শুয়োপোকার আক্রমণে আক্রান্ত হাইলাকান্দি জেলার বিস্তীর্ণ ধানি জমি। কয়েকশো একর জমির ধান ইতিমধ্যেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ধানের শীষ বের হওয়ার এই সময় ঝাঁক ঝাঁক শুয়োপোকা ধান খেতে হানা দিয়ে খেয়ে নিচ্ছে ধান গাছটাই। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় মাথায় হাত চাষিদের। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমেছে জেলা কৃষি দফতর। উপায়ন্তর না দেখে ব্যবহার করা হচ্ছে কড়া কীটনাশক। কৃষি দফতরের এক কর্তার বক্তব্য, ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে কিছু করার নেই। কিন্তু এই পোকা যাতে নতুন জমিতে ছড়িয়ে না পড়ে সে দিকেই বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।

Advertisement

আক্রান্ত এলাকাগুলি হল লালার মহম্মদপুর দ্বিতীয় খন্ড, বাহাদুরপুর এবং বোয়ালিপার ইত্যাদি এলাকা। লালার কৃষি সম্প্রসারণ কর্মী আশিস রঞ্জন নাথ জানান, ‘‘বন্যার ফলে পাহাড়ের এই পোকারা জলে ভেসে ধান খেতে চলে এসেছে। এরা ধান গাছকেই একেবারে নির্মূল করে দেয়।’’ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ জেলা কৃষি উন্নয়ন আধিকারিক এ আর আহমেদ লালার আক্রান্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। তাঁরা এই সমস্যা নিয়ে এলাকার চাষিদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। তারপর স্প্রে মেশিনের সাহায্যে এলাকার কৃষকদের নিয়ে খেতে খেতে কীটনাশক ছড়ানো হচ্ছে। আহমেদ বলেন,‘‘কৃষকদের কাছে এ এক ভয়াবহ সমস্যা। শুয়োপোকার আক্রমণে দিশেহারা মহম্মদপুরের চাষি সেলিমুদ্দিন বলেন, ‘‘ফলবতী ধান পোকায় খেয়ে ফেলছে। চোখের উপরে দেখলাম। কিছু করতে পারলাম না।’’ তাঁর আক্ষেপ, ‘‘আর মাত্র ক’দিন পরেই ধান ফলতে আরম্ভ করত!’’
এ ভাবে খেতের ধান পোকায় খাওয়ায় তিনি পথে বসে গিয়েছেন বলে জানান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন