(বাঁ দিকে) পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ এবং সৌদি আরবের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
সাম্প্রতিক ভারত-পাক সংঘাতে উত্তেজনা প্রশমনের ক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ভূমিকা নেওয়ার জন্য সৌদি আরবের যুবরাজকে ধন্যবাদ জানাল ইসলামাবাদ। দু’দিনের সফরে সে দেশে গিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। শুক্রবার তিনি মক্কায় সৌদির যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমনের সঙ্গে বৈঠক করেন। পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, একাধিক বিষয় নিয়ে দু’জনের কথা হয়। আলোচনায় আসে ভারত-পাক সংঘাত প্রসঙ্গও।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ‘উত্তেজনা প্রশমনে সক্রিয় ভূমিকা নেওয়া’ এবং ‘গোটা অঞ্চলে শান্তিরক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ’ থাকার জন্য সৌদির যুবরাজকে ধন্যবাদ জানান শাহবাজ়। ওই প্রতিবেদনে এ-ও দাবি করা হয়েছে যে, সৌদির যুবরাজের সঙ্গে বৈঠকে শাহবাজ় জানান, ভারতের ‘আগ্রাসনের’ মুখেও ‘দায়িত্বশীল এবং সংযত’ আচরণ করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য আলোচনাই একমাত্র পথ।
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক স্তরে দৌত্য চালাতে বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে ভারত। পাল্টা কয়েকটি দেশে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে পাকিস্তানও। কয়েক দিন আগে চার ‘বন্ধুরাষ্ট্রে’ গিয়েছিলেন শাহবাজ়। সেই দেশগুলির মধ্যে ছিল তুরস্ক, আজ়ারবাইজানও। এই দুই দেশের বিরুদ্ধেই ভারতের সঙ্গে সংঘাতের সময় পাকিস্তানকে ‘সমর্থন’ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে।
অন্য দিকে, শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানকে তোপ দেগে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছিলেন, তা খারিজ করে দিয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার জম্মুর কাটরায় পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে মোদী বলেছিলেন, “ভারতে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বাধানো এবং কাশ্মীরের পরিশ্রমী মানুষদের রুজিরুটিতে ঘা দেওয়াই লক্ষ্য ছিল। তাই পাকিস্তান পর্যটকদের নিশানা করে।” মোদীর এই মন্তব্যকে ‘ভিত্তিহীন এবং বিভ্রান্তিমূলক’ বলে দাবি করেন পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইশাক দার। পরে একটি বিবৃতি দিয়ে পাকিস্তানের তরফে বলা হয়, “আরও একবার কোনও নির্ভরযোগ্য তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই ভারতের প্রধানমন্ত্রী পহেলগাঁও কাণ্ডের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেন। আমরা এটা খারিজ করছি।”