পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ কমিটি (সিজেসিএসসি)-র চেয়ারম্যান জেনারেল মির্জ়া। — ফাইল চিত্র।
ভারতের আধিপত্যবাদ এবং মৌলবাদী চেতনা উন্নয়নশীল দেশগুলির যৌথ আকাঙ্ক্ষার বিরোধী। ইসলামাবাদে এক সম্মেলনে এমনই মন্তব্য করলেন পাক সেনাকর্তা সাহির সমশাদ মির্জ়া। ভারতকে ট্রোজান ঘোড়া বলে আক্রমণ করে বললেন, ‘‘তলে তলে ক্ষতির চেষ্টা করছে ওরা।’’
গত সপ্তাহে ইসলামাবাদে একটি সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ কমিটি (সিজেসিএসসি)-র চেয়ারম্যান জেনারেল মির্জ়া। সেখানেই এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। পাক জেনারেল বলেন, ‘‘ভারতে সামরিক শক্তির রাজনীতিকরণ এবং রাজনীতির সামরিকীকরণ হয়েছে। এটি আদতে বিপজ্জনক সমন্বয়। পাকিস্তান যে কোনও সমস্যা নিয়ে মুখোমুখি আলোচনায় বসতে পছন্দ করে, কিন্তু ভারত তেমন নয়। ওরা সংঘাতে উস্কানি দেয়।’’ এর পরেই কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনে পাক সেনাকর্তার মন্তব্য, ‘‘কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য অবিলম্বে তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা প্রয়োজন। আমরা যে কোনও রাষ্ট্র কিংবা আন্তর্জাতিক সংস্থার এই সংক্রান্ত উদ্যোগকে সর্বদা স্বাগত জানাব।’’
জেনারেল মির্জ়ার কথায়, ‘‘ভারত উন্নয়নশীল দেশগুলির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তবে, ওরা আধিপত্যবাদ এবং সম্প্রসারণবাদকে লালন করে। ওদের মৌলবাদী চিন্তা রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাবের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবাধিকারও লঙ্ঘন করে। মূলত, ভারতের এখনকার দৃষ্টিভঙ্গি উন্নয়নশীল দেশগুলির আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বিরোধী। ভারত আসলে ‘ট্রয়ের ঘোড়া’। ওরা তলে তলে ক্ষতি করছে।’’
উল্লেখ্য, এর আগে গত মে মাসে সিঙ্গাপুরের সাংগ্রি-লা বৈঠকেও এমনটাই দাবি করেছিলেন জেনারেল মির্জ়া। বলেছিলেন, যে কোনও সমস্যা তৈরি হলে তার সম্পূর্ণ সমাধানই কাম্য। তাৎক্ষণিক ভাবে কোনও ব্যবস্থা নিয়ে সংঘাত পিছিয়ে দেওয়া যায়, কিন্তু এড়ানো যায় না। আর ভারত-পাকিস্তানের মূল সমস্যা কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে। তাই রাষ্ট্রপুঞ্জের নীতি মেনে অবিলম্বে কাশ্মীর-সমস্যার সম্পূর্ণ সমাধান দরকার, এমনটাই দাবি করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিহামলা-পরবর্তী অস্থিতিশীলতার জন্যও ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক অবস্থানকে দায়ী করেছিলেন মির্জ়া। এ বার ফের একই সুর শোনা গেল পাক সেনাকর্তার মুখে।