স্বাধীনতা দিবসের সকালে দিল্লিতে শুভেচ্ছার বার্তা এল পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কাছ থেকে। আর জম্মু-কাশ্মীরে সীমান্তের ও-পার থেকে এল পাক সেনার গোলা। পুঞ্চে নিহত হলেন তিন নাগরিক। আহত ১১ জন।
অন্যান্য বছর ইদ, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মিষ্টি বিনিময় করে দুই পড়শি দেশের সেনা। এ বছর ইদে মিষ্টি বিনিময় হয়নি পুঞ্চে পাক সেনার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের কারণে। স্বাধীনতা দিবসেও মিষ্টি নয়, বিনিময় হল মর্টার-শেল। শুধু জুলাই মাসেই মোট ১৯ বার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করেছে পাক সেনা। যার জেরে নিহত হন ৪ জন নিরাপত্তা রক্ষী। আহত হন ১৪ জন। অগস্টেও সমানে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে পাক রেঞ্জার্স। তা সত্ত্বেও ১৪ অগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে নওয়াজকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু সেনা সূত্রের খবর, কাল মাঝরাতের পর থেকেই গোলাগুলিতে তার জবাব আসতে থাকে। পুঞ্চ ও মান্ডি এলাকায় শুরু হয় পাক গোলাবর্ষণ। রাত তিনটে নাগাদ তা থামে। ফের শুরু হয় সকাল সাড়ে সাতটা থেকে। জবাব দেয় ভারতীয় সেনাও।
একই বৈপরীত্য ভারত-পাক আলোচনার ক্ষেত্রেও। ইসলামাবাদে কমনওয়েলথভূক্ত দেশগুলির স্পিকারদের সম্মেলন হবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ অক্টোবর। সেখানে ভারতের আর সব স্পিকারকে আমন্ত্রণ জানালেও ইসলামাবাদ বাদ দিয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের স্পিকারকে। পাকিস্তানের যুক্তি, জম্মু-কাশ্মীর বিতর্কিত অঞ্চল। তাই বাদ দেওয়া হয়েছে সেখানকার স্পিকারকে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ভারত ওই সম্মেলন বয়কট করার কথা জানিয়ে দিয়েছে। তবে সন্ত্রাসবাদের প্রশ্নে দুই
দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক কিন্তু বাতিল হয়নি। এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে, আগামী ২৩ অগস্ট অজিত ডোভালের সঙ্গে বৈঠকে করতে দিল্লিতে আসবেন সরতাজ আজিজ। তার আগে আজ, নয়াদিল্লির পাক হাইকমিশন নওয়াজের এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। নওয়াজ বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান মন থেকে চায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সব সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলতে। আমাদের বিশ্বাস, পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতায় নতুন যুগ শুরু হতে পারে।’’ যদিও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ও-পার থেকে পুঞ্চে এর উল্টো বার্তাই পেল ভারত।