(বাঁ দিক থেকে) নরেন্দ্র মোদী, খালেদা জিয়া এবং মুহাম্মদ ইউনূস। —ফাইল চিত্র।
প্রয়াত বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে খালেদার পরিবার এবং বাংলাদেশের মানুষকে সমবেদনা জানান তিনি। লেখেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বেগম খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ এবং ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।” খালেদার প্রয়াণে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসও। প্রয়াত বিএনপি নেত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে খালেদার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী শেখ হাসিনার প্রসঙ্গও উত্থাপন করেছেন ইউনূস।
মঙ্গলবার সকাল ৬টা নাগাদ (বাংলাদেশের স্থানীয় সময় অনুসারে) ঢাকার হাসপাতালে মৃত্যু হয় খালেদার। একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে এক মাসেরও বেশি সময় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর পরেই বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের তরফে শোকপ্রকাশ করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে অন্তবর্তী সরকারের তরফে দীর্ঘ পোস্ট করে ইউনূসকে উদ্ধৃত করে লেখা, “বেগম খালেদা জিয়া শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রীই ছিলেন না; তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তাঁর অবদান, তাঁর দীর্ঘ সংগ্রাম এবং তাঁর প্রতি জনগণের আবেগ বিবেচনায় নিয়ে সরকার চলতি মাসে তাঁকে রাষ্ট্রের অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে ঘোষণা করে।”
একই সঙ্গে ওই পোস্টে হাসিনার সঙ্গে প্রয়াত বিএনপি নেত্রীর তুলনা করে ইউনূসকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, “শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনামলে বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন সংগ্রাম ও প্রতিরোধের এক অনন্য প্রতীক। তাঁর আপসহীন ভূমিকা দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামে জাতিকে দারুণ ভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।” সেখানে ইউনূসের বয়ানে এ-ও লেখা হয়েছে যে, ‘রাজনৈতিক সাফল্যের কারণেই’ খালেদা ‘চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার’ হয়েছিলেন।
অন্য দিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর সঙ্গে খালেদার দু’টি ছবি পোস্ট করেছেন। ২০১৫ সালে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন মোদী। সেই সময় তিনি দেখা করেছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী খালেদার সঙ্গেও। সেই বৈঠকের দু’টি ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। সেই বৈঠকের স্মৃতিচারণও করেছেন। লিখেছেন, “২০১৫ সালে ঢাকায় তাঁর (খালেদা) সঙ্গে বৈঠকের কথা মনে পড়ছে।” একই সঙ্গে মোদীর সংযোজন, “আমার বিশ্বাস, তাঁর (খালেদা) দৃষ্টিভঙ্গি এবং ঐতিহ্য আমাদের বোঝাপড়াকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাবে।”
খালেদার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “বেগম জিয়া পাকিস্তানের নিবেদিত বন্ধু ছিলেন। আমার সরকার এবং পাকিস্তানের মানুষ এই দুঃখের সময়ে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে রয়েছে।