ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। —ফাইল চিত্র।
আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে সংঘাতের আবহেই প্রথমে জাপান এবং তার পরে চিন সফরে রওনা হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। চিন সফরে সে দেশের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে আগামী রবিবার তাঁর বৈঠক হতে পারে।
আগামী ৩১ অগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনেরও। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এসসিও সম্মেলনের পাশাপাশি চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোদীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেরও আয়োজন করা হয়েছে। চিন সফরের আগে দু’দিনের জন্য (২৯-৩০ অগস্ট) জাপান সফরেও যাবেন মোদী।
২০২০ সালে লাদাখে ভারত-চিন সংঘর্ষের পর এই প্রথম বার চিন সফরে যাচ্ছেন মোদী। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, বিষয়টি যদি শুধু এসসিও সম্মেলনে যোগ দেওয়ার মধ্যে সীমিত থাকত, তা হলে অসুবিধা ছিল না। যে হেতু জিনপিংয়ের সঙ্গে মোদী পার্শ্ববৈঠকও করবেন, তাই বিষয়টি তাৎপর্যপূর্ণ। আরও তাৎপর্যপূর্ণ সময়টা। কারণ, এই সময়েই ভারতীয় পণ্যের উপর জরিমানা— ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আমেরিকার এই সিদ্ধান্তের কারণ, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিনকে মদত দিচ্ছে! ভারত অবশ্য এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। বস্তুত, রাশিয়া থেকে তেল কেনা দেশগুলির মধ্যে চিনও রয়েছে। কূটনীতিকদের একাংশের মত, এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ার পাশাপাশি চিনের সঙ্গেও কূটনৈতিক দৌত্য চালিয়ে দিল্লি বহুপাক্ষিক কূটনীতির পথ খোলা রাখতে চাইছে।
যদিও মোদীর জাপান-চিন সফরের আগে নয়াদিল্লি জানিয়েছে, আমেরিকা-ভারত-জাপান এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে চতুর্দেশীয় অক্ষ ‘কোয়াড’কে আরও বেশি করে কাজে লাগিয়ে ভারত প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি আনতে চাইছে তারা। জাপানযাত্রার আগে নয়াদিল্লির এমন বিবৃতি ওয়াশিংটনের উদ্দেশে ইতিবাচক বার্তা বলেও মনে করছে কূটনীতিকদের অন্য একটি অংশ। পাশাপাশি, চিনে এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাস এবং পহেলগাঁও কাণ্ড নিয়ে সরব হতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।