(বাঁ দিকে) গুলি চালানোর দিন। (ডান দিকে) অভিযুক্ত যুবক (চেক জামা পরা)। ছবি: সংগৃহীত।
ছাত্রীকে গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (এসিপি) বরুণ দাহিয়া জানিয়েছেন, সোমবারের ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে পাঁচটি দল আলাদা আলাদা ভাবে তল্লাশি চালাচ্ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার ফরিদাবাদে যায় পুলিশের একটি দল। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর অভিযুক্তকে নিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের খোঁজে যায় পুলিশ। সেই সময়েই তাদের হাত ছাড়িয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশের দাবি, তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত। পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও। অভিযুক্তের পায়ে গুলি লাগে। তার পর তাঁকে আবার ধরা হয়।
অভিযুক্তের নাম যতীন মঙ্গলা। সোমবার এক ছাত্রী কোচিং থেকে ফিরছিল। আগে থেকেই রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন যতীন। ছাত্রীটি তার বন্ধুদের সঙ্গে ওই রাস্তা ধরেই আসছিল। তাকে দেখামাত্রই ব্যাগ থেকে বন্দুক বার করে কাছ থেকে গুলি চালান যতীন। তার পরই পালিয়ে যান। ছাত্রীর কাঁধে এবং পেটে গুলি লাগে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সেই ঘটনার পর থেকে যতানের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ।
এসিপি দাহিয়া জানিয়েছেন, অভিযুক্ত যুবক ওই ছাত্রীকে বেশ কিছু দিন ধরেই উত্ত্যক্ত করছিলেন বলে অভিযোগ। তাঁর কাছে থেকে আটটি সিমকার্ড উদ্ধার হয়েছে। ছাত্রীকে ফোন করার জন্য এই সিমকার্ডগুলি ব্যবহার করতেন। তাঁর কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও আরও অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। ছাত্রীকে যে বন্দুক দিয়ে গুলি করেছিলেন যতীন, সেটি ঘটনাস্থলে ফেলে গেলেও তাঁর কাছে আরও একটি বন্দুক ছিল। অভিযুক্ত সেটি দিয়েই পুলিশের উপর হামলা চালান।