(বাঁ দিকে) রেখা গুপ্ত। অভিযুক্ত রাজেশভাই খিমজিভাই। — ফাইল চিত্র।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তের বাসভবনে ঢুকে তাঁকে মারধরের ঘটনায় ৪০০ পাতার চার্জশিট দিল পুলিশ। ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে সেই চার্জিশিট পুলিশ জমা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ‘জনশুনানি’ কর্মসূচি চলছিল। সে সময়ে সেখানে প্রবেশ করে তাঁকে চুলের মুঠি ধরে মারধরের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত সাকরিয়া রাজেশভাই খিমজিভাই এবং তাঁর বন্ধু সৈয়দ তহসিন রাজ়ার বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, জনপ্রতিনিধির কাজে বাধা, মারধর-সহ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সেই চার্জশিট জমা পড়েছে। ৩০ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি।
চার্জশিট সূত্রে জানা গিয়েছে, সু্প্রিম কোর্টের ১১ অগস্টের নির্দেশকে সমর্থন করেছিলেন রেখা। তাতেই চটে গিয়েছিলেন খিমজিভাই। ওই নির্দেশে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, দিল্লির রাস্তা থেকে সমস্ত পথকুকুরকে সরিয়ে দিতে হবে। তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে রাখা হবে। সেই নির্দেশ পরে স্থগিত করে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের আগের রায়কে সমর্থন জানানোর জন্যই রেখার উপরে খিমজিভাই চটেছিলেন বলে চার্জশিট সূত্রে খবর।
গত ২০ অগস্ট নিজের সিভিল লাইন্সের বাসভবনে বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শুনছিলেন রেখা। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, ছিলেন বিজেপির নেতা-কর্মীরাও। সেই ভিড়ের মধ্যেই উপস্থিত ছিলেন গুজরাতের রাজকোটের বাসিন্দা রাজেশভাই খিমজিভাই। হঠাৎ তিনি উঠে কিছু কাগজপত্র নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে যান। অভিযোগ, আচমকাই চিৎকার করে গালিগালাজ শুরু করে দেন। মুখ্যমন্ত্রীর চুল টেনে ধরে তাঁকে চড় মারেন ওই যুবক। আহত মুখ্যমন্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় এ বার চার্জশিট দিল দিল্লি পুলিশ।