গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহের জামাই পুনীত গুপ্তের হাসপাতালে পুলিশি হানা। পুলিশ সূত্রে খবর, রাজ্যের একটি সরকারি হাসপাতালের সুপার থাকাকালীন পুনীতের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ ওঠে। একটি মামলাও দায়ের হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার তল্লাশি চালানোর সময় ওই মামলা সংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে পুনীতের কোনও হদিস মেলেনি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে রাইপুরের পুলিশ সুপার আরিফ শেখ জানান, পুনীতের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করা হয়েছিল। তাঁকে পুলিশের কাছে হাজিরা দিতেও বলা হয়েছিল। কিন্তু হাজিরা দেননি। পুনীতের বিরুদ্ধে আরও একটা নোটিস জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন আরিফ।
পুলিশ জানিয়েছে, রাইপুরের ডিকেএস পোস্ট গ্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার-এর সুপার থাকাকালীন ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে পুনীতের বিরুদ্ধে। হাসপাতালেরই বর্তমান সুপার চিকিত্সক কমল কিশোর সাহারে গত ১৫ মার্চ পুনীতের বিরুদ্ধে এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেন পুলিশের কাছে। তার পরই পুনীতকে নোটিস পাঠিয়ে হাজিরা দিতে বলে পুলিশ। কিন্তু সেই নোটিস উপেক্ষা করায় পুনীতের খোঁজে তাঁর পরিচালিত হাসপাতালে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আরও পড়ুন: উদ্ধার মার্কিন স্নাইপার, অ্যাসল্ট রাইফেল, কাশ্মীরে দুই জইশ-সহ ৬ জঙ্গিকে খতম করল সেনা
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস বলছে, ২০১২ থেকে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দেন পুনীত। কিন্তু ২০১৪-তে রমন সিংহ ক্ষমতায় এলে তাকে তাঁকে পুনর্বহাল করা হয়।
সামনেই লোকসভা নির্বাচন। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জামাইয়ের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসায় অস্বস্তিতে রমন সিংহ। ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ ভাবেই এই কাজ করা হচ্ছে বলে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ছত্তীসগঢ়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “ওরা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করে একের পর এক মামলা সাজাচ্ছে। আদালতে এই মামলাটি উঠলে সত্যটা সামনে আসবে।”
(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরাবাংলা খবরপেতে পড়ুন আমাদেরদেশবিভাগ।)