মধ্যপ্রদেশে একত্রবাসের সঙ্গীকে খুন করে পলাতক যুবক। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছে মহিলার দেহ। দেওয়ালে লাল লিপস্টিক দিয়ে লেখা, ‘‘ও অন্য কারও সঙ্গে পালাতে চাইছিল।’’ ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা মহিলার একত্রবাসের সঙ্গী। মধ্যপ্রদেশের বিদিশা জেলার ওই ঘটনায় অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
বিদিশা জেলায় একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন অনুজ বিশ্বকর্মা এবং তাঁর একত্রবাসের সঙ্গী রামসখী কুশওয়াহা। রামসখীর দুই কন্যাও রয়েছে। ছোট মেয়ের বয়স তিন বছর, বড় মেয়ের সাত বছর। পুলিশ সূত্রে খবর, পেশায় গাড়িচালক অনুজ গত দু’মাস ধরে রামসখীর সঙ্গে একত্রবাস শুরু করেছিলেন। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ওই ভাড়া বাড়ি থেকে রামসখী এবং তাঁর ছোট মেয়ের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বড় মেয়ে সেই সময় বাড়িতেই ছিল। কিন্তু ঘটনার পর থেকে অনুজের কোনও খোঁজ নেই। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের সন্দেহ, অনুজই দু’জনকে খুন করে পালিয়েছেন।
দু’জনের দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ওই ঘর থেকে একটি ‘ক্লু’-ও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ঘরের দেওয়ালে লাল লিপস্টিক দিয়ে হিন্দিতে লেখা রয়েছে, ‘‘ও অন্য কারও সঙ্গে পালাতে চেয়েছিল।’’ যা থেকে পুলিশের সন্দেহ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আশপাশের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে সোমবার রাতে অনুজ এবং রামসখীর মধ্যে তর্কাতর্কি বেধেছিল।
মঙ্গলবার সকালে বাড়ির মালিকই প্রথমে রামসখী এবং তাঁর এক মেয়ের দেহ ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন। তিনিই থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে খবর, রামসখীর আগেও দু’বার বিয়ে হয়েছিল। দ্বিতীয় স্বামী তাঁর উপর অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ। সেই কারণেই সংসার ছেড়ে অনুজের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন তিনি। বাড়ির মালিককে অবশ্য স্বামী-স্ত্রী হিসাবেই নিজেদের পরিচয় দিয়েছিলেন অনুজ এবং রামসখী।
প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, শ্বাসরোধ করা খুন করা হয়েছে দু’জনকে। তবে কী কারণে ওই মহিলা এবং তাঁর কন্যাকে খুন করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযুক্ত অনুজের খোঁজে ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তাঁকে ধরা গেলেই এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।