—প্রতীকী চিত্র।
পুলিশের বাইকে উঠে বিপদে তরুণী। এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন তিনি। অভিযোগ, জোর করে একটি ঘরে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ধর্ষণ করা হয় তরুণীকে। ঘটনার আপত্তিকর ভিডিয়োও রেকর্ড করা হয়। তরুণী জানিয়েছেন, ধর্ষণের কথা ফাঁস করলে ভিডিয়ো অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন ওই কনস্টেবল।
ঘটনাটি আগরার। ২৩ বছরের তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সেখানকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি পুলিশ কনস্টেবল হিসাবে কানপুরে কর্মরত। কিছু দিনের ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। অভিযোগ, তখনই তরুণীকে ‘টার্গেট’ করেন। সদ্য বিবাহিত তরুণী বিয়ের কাগজপত্র সংক্রান্ত কাজে বেরিয়েছিলেন। পথে তাঁকে বাইকে তুলে নেন ওই কনস্টেবল।
পুলিশের গাড়িতে উঠতে ভয় পাননি তরুণী। তিনি ভেবেছিলেন, তাঁকে সাহায্য করার জন্যই বাইকে করে গন্তব্যে পৌঁছে দিতে চেয়েছেন যুবক। কিন্তু পরে জানা যায় আসল কারণ। অভিযোগ, জোর করে একটি ঘরে ঢোকানো হয় তাঁকে। সেখানে শারীরিক ভাবে তরুণী নিগ্রহের শিকার হন। তাঁর অশ্লীল ভিডিয়ো তৈরি করা হয়। এর পরেই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
নির্যাতিতা এ-ও জানিয়েছেন, ঘরের বাইরে এক সঙ্গীকে পাহারায় রেখেছিলেন অভিযুক্ত। তিনি দেখছিলেন, ওই সময়ে ঘরে আর কেউ যাতে না ঢুকে পড়েন।
তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণ-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্ত কনস্টেবল এবং তাঁর সঙ্গীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আপাতত তাঁরা জেলে আছেন। অভিযোগ, তরুণীর পরিবারের ক্ষতি করার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। তাঁর মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। তরুণীর বয়ানও রেকর্ড করেছে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।