Pranab Mukherjee

ভোট ভরাডুবির জন্য স্মৃতিকথায় সনিয়া, মনমোহনকে নিশানা প্রণবের

আগামী জানুয়ারিতে প্রণবের বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশের কথা। যেখানে ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে ইউপিএ জোটের জয়ের পরবর্তী নানা পরিস্থিতি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২০ ০০:০১
Share:

—ফাইল চিত্র।

২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি ভবন ছাড়ার আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বই লেখার কাজেই অবসর কাটানোর ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। মৃত্যুর চার মাস পরে প্রকাশিত হতে চলেছে তাঁর লেখা শেষ বই ‘দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ারস’। ইতিমধ্যেই প্রণবের সেই আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থের কিছু অংশ সামনে এসেছে। তাতে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ক‌ংগ্রেসের ভরাডুবির জন্য দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহকে দায়ী করেছেন তিনি।

Advertisement

আগামী জানুয়ারিতে প্রণবের বইটির আনুষ্ঠানিক প্রকাশের কথা। যেখানে ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে ইউপিএ জোটের জয়ের পরবর্তী নানা পরিস্থিতি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘কংগ্রেসের অনেকেই মনে করেন, ২০০৪ সালে জয়ের পরে আমি প্রধানমন্ত্রী হলে ২০১৪ সালের বিপর্যয় এড়ানো যেত। আনি অবশ্য এমন ধারণার সঙ্গে একদমই একমত নই। তবে আমি মনে করি ২০১২ সালে আমি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে দল রাজনৈতিক দিশা থেকে সরে এসেছিল। সনিয়া দলের বিষয়গুলি পরিচালনা করতে পারছিলেন না। সংসদে মনমোহনের দীর্ঘ অনুপস্থিতির ফলে সাংসদদের সঙ্গে যোগাযোগ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল’।

তাঁর বইয়ে মনমোহন এবং নরেন্দ্র মোদীর প্রধানমন্ত্রিত্বেরও তুলনা করেছেন প্রণব। লিখেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপরেই সরকারের নৈতিক কর্তৃত্ব, জাতির অবস্থা এবং প্রশাসনের কার্যকারিতা নির্ভরশীল। মনমোহন ব্যস্ত ছিলেন জোট রক্ষায়। প্রশাসনে তার প্রভাব পড়েছিল। প্রধানমন্ত্রিত্বের প্রথম মেয়াদে মোদী অনেকটাই স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতিতে চলেছেন। ফলে আইনসভা এবং বিচারবিভাগের সঙ্গে তিক্ততা তৈরি হয়েছে’।

Advertisement


আরও পড়ুন: নড্ডার কনভয়ে থাকা দুষ্কৃতী রাকেশের প্ররোচনাতেই ক্ষেপে ওঠে জনতা: কল্যাণ

আরও পড়ুন: ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে বুদ্ধদেব কথা বললেন স্ত্রী-মেয়ের সঙ্গে

প্রসঙ্গত, এর আগে প্রণব তাঁর আত্মজীবনীমূলক বই ‘দ্য কোয়ালিশন ইয়ারস’-এ লিখেছিলেন, ২০০৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হতে না পেরে মনে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের আন্তরিকতা তাঁকে সেই দুঃখ ভুলিয়ে দিয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন