ফাইল ছবি।
সঙ্কট কমায় ভেন্টিলেটর থেকে বার করে আনা হল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছে। তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। সাড়া দিচ্ছেন চিকিৎসায়। স্ত্রী-মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন বুদ্ধবাবু। ওঁর সঙ্গে একজনকে কেবিনে থাকার অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। তাঁর চিকিৎসক কৌশিক চক্রবর্তী বললেন, ‘‘উনি এখন অনেকটা কম সঙ্কটে। যখন প্রথম ভর্তি হয়েছিলেন, তখন কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ ছিল ১৩১। এই অবস্থায় যে কারও কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হতে পারে। তখন বাড়ির লোকের পারমিশন নিয়ে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়।’’
কৌশিক বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করেছিলাম কী ভাবে ধীরে ধীরে ওঁকে ভেন্টিনেশন থেকে বের করে আনা যায়। সেই লড়াইটা জেতা গিয়েছে। এ জন্য শুক্রবার সকাল থেকে ওঁর ঘুমের ওষুধ বন্ধ করা হয়। বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ভেন্টিলেটরের নল খুলে দেওয়া হয়। তার পর থেকে বাইপ্যাপে রাখা হয়। এটা তো ওঁর বাড়িতেও চলত। এটাকে নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর বলে।’’
কথাও বলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। ওঁর সর্বক্ষণ দেখাশোনা করেন যে তপনবাবু, তাঁর খোঁজ করেছেন। কৌশিকবাবু বলেন, “ওঁর স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে দেখা করিয়েছি আমরা। তপনবাবুকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। কোভিড টেস্ট করানো হচ্ছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে ওঁকে বুদ্ধবাবুর সঙ্গে রেখে দেওয়া হবে কেবিনে।’’
সব মিলিয়ে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের অবস্থা এখন কিছুটা হলেও স্থিতিশীল।
দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চিকিৎসাধীন। তাঁর চিকিৎসায় গঠিত হয়েছে ১১ সদস্যের মেডিক্যাল টিম।
আরও পড়ুন: নড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে এ বার মুখ্যসচিব ও ডিজি-কে দিল্লিতে তলব
দীর্ঘদিন ধরেই সিওপিডি-র সমস্যায় ভুগছেন বুদ্ধদেব। বুধবার শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তখন তাঁর জ্ঞান ছিল না। প্রথমে তাঁকে বাইপ্যাপ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। রাতে দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। শুক্রবার তাঁকে বের করা হল ভেন্টিলেশন থেকে।
আরও পড়ুন: ভেন্টিলেটর থেকে বুদ্ধদেবকে বার করার চেষ্টা শুরু করলেন চিকিৎসকরা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy