Bihar Assembly Election 2025

ভোটে প্রার্থী হবেন না, ঘোষণা করে দিলেন প্রশান্ত কিশোর, দিলেন ব্যাখ্যাও! পিকে-র দাবি, বিহারে বিদায়ের পথে এনডিএ

জন সুরাজ পার্টি প্রথম দফার প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করেছে। সেই তালিকায় নাম ছিল না পিকে-র। মঙ্গলবার রাতেই অবসান ঘটেছিল প্রশান্ত কিশোর বনাম তেজস্বী যাদবের লড়াইয়ে জল্পনার।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ১০:২৫
Share:

প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র

বিহারে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না তিনি। নিজেই ঘোষণা করলেন প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (পিকে নামেই যিনি পরিচিত)। জন সুরাজ পার্টি-র (জেএসপি) প্রতিষ্ঠাতা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানান, এ বারের ভোটে তিনি লড়ছেন না। তবে তাঁর দল লড়াই করবে। কেন তিনি ভোটে লড়ছেন না, তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন পিকে। তাঁর দাবি, ভোটে না-দাঁড়িয়ে সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করতে চান।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে জন সুরাজ পার্টি তাদের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করে। সেই তালিকায় নাম ছিল না পিকে-র। নির্বাচনের আবহে বিহারের রাজনীতিতে প্রশান্ত কিশোর বনাম আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের লড়াইয়ে জল্পনা শুরু হয়। প্রশান্ত নিজেই দাবি করেছিলেন, তিনি লড়লে বৈশালী জেলার রাঘোপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হবেন। ওই আসনের বিদায়ী বিধায়ক তেজস্বী। সেখানে তাঁর দল আরজেডি-র জমি শক্ত। সেই জমিতেই আঁচড় দিতে চেয়েছিলেন প্রশান্ত। রাঘোপুর ছাড়া বিকল্প হিসাবে আরও একটি কেন্দ্রের কথা বলেছিলেন তিনি। কারগাহার কেন্দ্র প্রশান্তের নিজের বিধানসভা এলাকা।

তবে মঙ্গলবার জন সুরাজ পার্টি তাদের প্রার্থিতালিকায় ওই দুই কেন্দ্রের জন্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে। সেখানে প্রশান্তের নাম ছিল না। রাঘোপুর কেন্দ্রের জন্য বেছে নেওয়া হয় চঞ্চল সিংহকে আর কারগাহার কেন্দ্র থেকে জন সুরাজ পার্টির টিকিটে লড়বেন রীতেশ রঞ্জন। তার পরই কিছুটা স্পষ্ট হয়ে যায়, এ বারে আর নির্বাচনে ‘হাতেখড়ি’ হচ্ছে না প্রশান্তের। তার পরেও ধোঁয়াশা ছিল প্রশান্তের নির্বাচনী লড়াই নিয়ে। বুধবার অবশ্য নিজেই সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে জানিয়ে দিলেন, ভোটে তিনি লড়বেন না।

Advertisement

প্রশান্ত কিশোরের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না-করার সিদ্ধান্তের নেপথ্যে দলের কিছু ব্যাখ্যা রয়েছে। জন সুরাজ পার্টির দাবি, যদি প্রশান্ত কোনও কেন্দ্র থেকে লড়াই করেন, তবে তাঁকে শুধু সেই এক জায়গায় আটকে দেওয়া হবে। দল তা চায় না। বিধানসভা নির্বাচনে জন সুরাজ পার্টির প্রতিটি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করবেন, লড়বেন।

পিটিআই-কে প্রশান্ত বলেন, ‘‘জন সুরাজ পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না-করে আমার সাংগঠনিক কাজে মনোনিবেশ করা উচিত।’’ শুধু তা-ই নয়, প্রাক্তন ভোটকুশলীর ভবিষ্যদ্ববাণী, এ বারের ভোটে বিহারের ‘পরাজয়’ হবে এনডিএ-র। তিনি মনে করেন নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ ২৫টি আসন জিততেও চাপে পড়বে। তাঁর কথায়, ‘‘বিহার থেকে বিদায় নেবে এনডিএ। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আর ফিরে আসবেন না নীতীশ কুমার।’’

কেন এনডিএ-র জেতার সম্ভাবনা নেই বলে মনে করছেন পিকে? তাঁর দাবি, ‘‘জেডিইউ-র ভবিষ্যৎ কী হবে, তা বোঝার জন্য আপনাকে এক জন বিশ্লেষক হওয়ার প্রয়োজন নেই। গত বিধানসভা ভোটে নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার কয়েক দিন আগেই চিরাগ পাসোয়ান বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। নীতীশের দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই প্রার্থী দিয়েছিল চিরাগের দল। তার ফলে নীতীশের দলের বিধায়ক সংখ্যা নেমে আসে ৪৩-এ। ’’ প্রশান্তের আরও দাবি, বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’-র কোনও উন্নতি হয়নি। আরজেডি এবং কংগ্রেসের মধ্যে চলছে এক অন্তহীন দ্বন্দ্ব। ফলে নির্বাচনে বিরোধী জোট কেমন ফল করবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে বলে জানান পিকে।

নির্বাচন কমিশন গত ৬ অক্টোবর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে জানিয়েছে, এ বার বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে দু’দফায় ভোট হবে। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর। ওই দফায় ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ১০-১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমার পর তা পরীক্ষা হবে ১৮ অক্টোবর। প্রথম দফার ভোটের প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় মোট ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ওই দফার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে ১৩ অক্টোবর। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করা যাবে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থীরা চাইলে নাম তুলে নিতে পারবেন। ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement