Dual Voter Enrollment of Prashant Kishor

‘গ্রেফতার করুন’, নোটিস পেয়েই কমিশনকে পাল্টা নিশানা পিকের! দু’তালিকায় নামের ব্যাখ্যাও দিলেন

কমিশনের অভিযোগ, বিহারের সাসারাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত করহগর বিধানসভা এবং দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ২২:৪৭
Share:

প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।

নির্বাচন কমিশনের নোটিস পেয়েই পাল্টা সুর চড়ালেন প্রাক্তন ভোটকুশলী তথা জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা-প্রধান প্রশান্ত কিশোর (পিকে নামেই যিনি পরিচিত)। বিহারের বিধানসভা ভোটের প্রচারসভায় কমিশনের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমি যদি আইন ভেঙে থাকি, তবে নোটিস না পাঠিয়ে আমাকে গ্রেফতার করুন।’’

Advertisement

বিহারের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় নাম থাকার অভিযোগে মঙ্গলবার প্রশান্তকে নোটিস পাঠানো হয়েছে কমিশনের তরফে। সেই অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি ২০১৯ সাল থেকে আমার গ্রাম কোনারের একজন নিবন্ধিত ভোটার। কিন্তু আমি দু’বছর কলকাতায় কাটিয়েছি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই, সেখানেও রেকর্ড রয়েছে।’’ কমিশনের অভিযোগ বিহারের রোহতাস জেলার সাসারাম লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত করহগর বিধানসভা এবং দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে প্রশান্তের! রয়েছে দু’টি ভোটার কার্ডও।

দু’জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম থাকা ১৯৫০ সালের ভারতীয় জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১৭ নম্বর ধারার পরিপন্থী। তাই গত ২৮ অক্টোবর কমিশনের তরফে প্রশান্তের জবাবদিহি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিটি পাঠিয়েছেন করহগর বিধানসভার ভারপ্রাপ্ত নির্বাচনী আধিকারিক। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে তিনি জানতে চেয়েছেন, ভবানীপুরের ২১বি রানিশঙ্করী লেনের সেন্ট হেলেন স্কুলের বুথে ভোটার হিসেবে প্রশান্তের নাম নথিভুক্ত আছে কি না। সেই সঙ্গে করহগর বিধানসভা কেন্দ্রের যে বুথে প্রশান্তের নাম রয়েছে সেটির উল্লেখ রয়েছে চিঠিতে। রয়েছে, বিহারের ঠিকানার তার সচিত্র পরিচয়পত্রের নম্বরের উল্লেখও।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় তৃণমূলের ভোটকুশলী হিসাবে কাজ করেছিলেন প্রশান্ত এবং তাঁর সংস্থা আইপ্যাক। পরবর্তী সময় নতুন দল গড়ে বিহারে রাজনৈতিক কার্যকলাপ শুরু করেন তিনি। প্রকাশিত খবরে দাবি, ভবানীপুর কেন্দ্রের ভোটার হিসেবে প্রশান্তের ঠিকানা হিসেবে ১২১ নম্বর কালীঘাট রোড নথিভুক্ত হয়েছে। ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) নিয়েও মঙ্গলবারনির্বাচন কমিশনকে নিশানা করেছেন প্রশান্ত। তিনি বলেন, ‘‘এসআইআর অভিযান বিহারের জনগণকে ভয় দেখাতে পারেনি, ভোটারদের নাম মুছে ফেলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement