প্রশান্ত কিশোর। —ফাইল চিত্র।
বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে দলের শোচনীয় পরাজয়ের পর প্রথম বার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর, যিনি রাজনৈতিক মহলে পিকে নামেই সমধিক পরিচিত। মঙ্গলবার পটনায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পিকে জানান, তাঁর দল জন সুরাজ পার্টি (জেএসপি)-র ব্যর্থতার দায় পুরোপুরি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছেন তিনি। তাঁদের চেষ্টা সৎ হলেও তাতে কিছু ভুলভ্রান্তি ছিল বলে দাবি করেন পিকে। একই সঙ্গে তিনি জানান, তাঁর দল ভবিষ্যতে অবশ্যই জয়ী হবে।
পিকে স্বীকার করে নেন যে, ভোটারদের বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, “মানুষ যদি আমাদের উপর ভরসা না-রাখে, তা হলে তার দায় সম্পূর্ণ ভাবে আমারই। আমি এর ১০০ শতাংশ দায় নিচ্ছি। এটা ঘটনা যে, আমি বিহারের মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারিনি।” একই সঙ্গে পিকের সংযোজন, “আমরা একটা সৎ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এটা পুরোপুরি ব্যর্থ হল। এটা স্বীকার করতে তো কোনও দোষ নেই। প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের কথা ভুলে যান, আমরা ক্ষমতার ভরকেন্দ্রেও কোনও বদল আনতে পারিনি।” নিজেদের ত্রুটির কথা জানিয়ে পিকে বলেন, “আমাদের চেষ্টায় নিশ্চয়ই কিছু ভুল ছিল। আমাদের ধারণা, আমরা যে ভাবে বিষয়গুলি ব্যাখ্যা করছিলাম, সে ভাবে সেগুলি মানুষ গ্রহণ করেনি।
তবে রাজনীতিক হিসাবে তিনি এবং তাঁর দল এ যাত্রায় ব্যর্থ হলেও আশা হারাতে নারাজ পিকে। তিনি বলেন, “আজ আমরা একটা ধাক্কা খেয়েছি ঠিকই, তবে ভবিষ্যতে অবশ্যই আমরা জিতব। আমি বিহার ছাড়ছি না। যাঁরা ভাবছেন আমি বিহার ছেড়ে চলে যাব, তাঁরা স্বপ্ন দেখছেন। গত তিন বছরে যা করেছি, তার তুলনায় আমি এ বার দ্বিগুণ পরিশ্রম করব।”
ভোটকুশলী হিসাবে পিকের বহু রাজনৈতিক পূর্বানুমান অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেলেও বিহার তাঁকে শূন্য হাতেই ফিরিয়েছে। ভোটের আগে-পরে নানা কারণে বার বার সংবাদ শিরোনামে থাকলেও পিকে-র দল একটি আসনেও জিততে পারেনি। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে পিকের দলের তরফে বলা হয়, তারা ভোটের ফলাফলে হতাশ হলেও হতোদ্যম নয়। একই সঙ্গে জানানো হয়, তারা কোনও আসন না-পেলেও শাসকজোট এনডিএ-র বিরোধিতা করে যাবে। পিকের দলের তরফে শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন জাতীয় সভাপতি উদয় সিংহ। বিহারে ফলপ্রকাশের চার দিন পর এ বার মুখ খুললেন পিকে স্বয়ং।