প্রবীণ তোগাড়িয়া
চলতি সপ্তাহের শেষে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ থেকে ফের প্রবীণ তোগাড়িয়াকে সরানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তা আঁচ করে আজ আবার রামমন্দির নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তোগাড়িয়া।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কার্যকরী সভাপতির অভিযোগ, রামমন্দির আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন অনেক হিন্দু। ভোটের আগে ‘বড় ভাই’ (নরেন্দ্র মোদী)-র প্রতিশ্রুতি ছিল, ক্ষমতায় এলে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ করবেন। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে, অক্টোবরে আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করা হবে। যার অর্থ, রামমন্দিরের আশপাশে ফের বাবরি মসজিদ বানানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাতে হিন্দুদের আক্রোশ বাড়বে। তোগাড়িয়ার কথায়, ‘‘ফের হিন্দুদের লাশের উপর ক্ষমতায় আসতে চাইছেন? তা না হলে কেন আইন করে রামমন্দির নির্মাণ করছেন না?’’
এক মাস আগে এই তোগাড়িয়াই সাংবাদিক সম্মেলন করে মোদীর সঙ্গে দেখা করার প্রকাশ্য আর্জি জানান। মোদীকে চিঠিও লেখেন। কিন্তু কোনও জবাব পাননি। গত বছরের শেষে ভুবনেশ্বরে কর্মসমিতির বৈঠকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি রাঘব রেড্ডি ও তোগাড়িয়াকে সরানোর প্রস্তুতি শুরু হয়। কিন্তু চাল বদলে তোগাড়িয়া ভোট করান। তোগাড়িয়ার প্রার্থী রাঘব রেড্ডিরই জেতবার উপক্রম হতে থাকে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে থাকায় বৈঠকে উপস্থিত আরএসএসের সুরেশ ভাইয়াজি জোশী ভোট মাঝপথে থামিয়ে দেন।
আরও পড়ুন:
চার মাস পরে ফের রাঘব রেড্ডিকে সরিয়ে হিমাচল প্রদেশের প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা প্রাক্তন বিচারপতি বিষ্ণু সদাশিব কোকজেকে সে জায়গায় আনতে চায় সঙ্ঘ। তাতে মোদীরও সায় আছে বলে সঙ্ঘ সূত্রের দাবি। ১৪ এপ্রিল দিল্লির উপকণ্ঠ গুরুগ্রামে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু এ বারও রণেভঙ্গ দিতে চাইছেন না তোগাড়িয়া। এ
বারও যে তিনি ভোটের জন্য প্রস্তুত, সাফ বুঝিয়ে দিয়েছেন। আজ তিনি বলেন, ‘‘অশোক সিঙ্ঘল জীবিত থাকতেই রাঘব রেড্ডিকে সভাপতি বানিয়ে গিয়েছেন। তিনিই থাকবেন। আমি তো কার্যকরী সভাপতি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদে প্রতি তিন বছরে ভোট হয়। তাতে কেউ জিতবেন, কেউ হারবেন। তার সঙ্গে রামমন্দিরের কোনও সম্পর্ক নেই।’’