রবিন ভাদাক্কুমচেরি নামের এক পাদ্রির তিনটি আলাদা মামলায় মোট ৬০ বছরের জেল হয়েছে।
এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে কুড়ি বছরের কারাদণ্ড হল কেরলের এক ক্যাথলিক পাদ্রির। ধর্ষণের ফলে ওই নাবালিকা অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়ে। রবিন ভাদাক্কুমচেরি নামে ওই পাদ্রির আসলে তিনটি আলাদা মামলায় মোট ৬০ বছরের জেল হয়েছে। কিন্তু সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, যেহেতু একই অপরাধের সঙ্গে ওই মামলাগুলি যুক্ত, তাই ওই পাদ্রিকে ২০ বছর জেলে থাকতে হবে। গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা ও বয়ান বদলের জন্য ওই নাবালিকার মায়ের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ঘটনা প্রথম প্রকাশ্যে আসে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। কেরলের কান্নুরের বাসিন্দা ওই নাবালিকার বাবা প্রথমে পুলিশের কাছে ওই পাদ্রির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। তাঁর কিশোরী মেয়ে যে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে, সেটাও জানান তিনি। কিশোরীর বাবা জানান, ২০১৬ সালের মে মাসে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে ৫১ বছরের ওই পাদ্রি। মেয়েটির বয়স তখন ১৬। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ারও চেষ্টা করা হয় ওই পাদ্রির তরফে। কিন্তু ইতিমধ্যেই নাবালিকা ওই কিশোরী একটি সন্তানের জন্ম দেয়। কান্নুর চাইল্ড লাইনের নোডাল অফিসার জানিয়েছেন, ওই সদ্যোজাত সন্তানটিই পাদ্রির বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ প্রমাণে তাঁদের মূল হাতিয়ার ছিল। মেয়েটি এখন তার বাবা-মায়ের সঙ্গেই থাকে। তার সন্তানকে পালক বাবা-মায়ের কাছে দেওয়া হয়েছে। তবে নিরাপত্তার খাতিরে তাঁদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।