National News

কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, গভীর রাতে ফের উত্তেজনা শবরীমালায়

পুলিশি পদক্ষেপের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এর পর রাজ্যের নানা জায়গায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। তিরুঅনন্তপুরমে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান কট্টরপন্থী সংগঠনের সদস্যেরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৮ ১১:০০
Share:

শবরীমালা নিয়ে পুলিশের তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি-সহ রাজ্যের কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি। ছবি: রয়টার্স।

শবরীমালাকে কেন্দ্র করে ফের কেরল জুড়ে উত্তেজনা চরমে পৌঁছল। রাস্তা অবরোধ-বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত।

Advertisement

শবরীমালায় মন্দির চত্বরের ভিতরে ভক্তদের রাতভর থাকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। তার প্রতিবাদে পুলিশের তীব্র সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি-সহ রাজ্যের কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি। নিষেধাজ্ঞা সরানো ছাড়াও পুলিশি কড়াকড়ির প্রতিবাদ জানান বহু কট্টরপন্থী। রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও শবরীমালা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। ওই ভক্তদের হঠাতে কড়া পদক্ষেপ করে পুলিশ। রবিবার গভীর রাতে মন্দির চত্বর থেকে প্রায় ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশি পদক্ষেপের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এর পর রাজ্যের নানা জায়গায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে। তিরুঅনন্তপুরমে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখান কট্টরপন্থী সংগঠনের সদস্যেরা। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষও হয় তাঁদের। এ ছাড়া, কোচি, কোঝিকোড়, মালাপ্পুরম, অরুণমুা, কোল্লাম, আলাপুঝা, রন্নি, থোড়ুপুঝা, কালাডি এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বিজেপি কর্মী-সদস্যরা।

Advertisement


আরও পড়ুন: আজ শবরীমালার আর্জি সুপ্রিম কোর্টে

গত ২৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের এক ঐতিহাসিক রায়ে শবরীমালার আয়াপ্পা মন্দিরে ঢোকার প্রবেশাধিকার পেয়েছেন সব বয়সের মহিলারা। এর মধ্যে রয়েছেন ১০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ঋতুমতী মহিলারাও। এর পরেই ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করেন কট্টরপন্থীরা। রাজ্য জুড়ে হিংসার শিকার হন বহু মানুষ।

আরও পড়ুন: অযোধ্যা-জট খুলতে আসরে রিজভি

মাসখানেক মন্দির বন্ধ থাকার পর গত শুক্রবার ফের শবরীমালা মন্দির-যাত্রার জন্য শুরু হয়। আগের মতো রাজ্যে ফের যাতে হিংসা না ছড়ায় সে জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে মন্দির চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে পুলিশ। পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা প্রতীশ কুমার অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন, মন্দিরে পুজোর জন্য ঢুকতে চাইলে প্রকৃত ভক্তদের বাধা দেওয়া হবে না। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য রাজ্য জুড়েই ১৫ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু, মন্দির-যাত্রার প্রথম দিন থেকে ফের অশান্তি ছড়াতে থাকে। মন্দির যাওয়ার পথে বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক কে সুরেন্দ্রন এবং কট্টরপন্থী কে পি শশিকলাকে গ্রেফতার করা হয়। শশিকলাকে অবশ্য শনিবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কে সুরেন্দ্রনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার প্রতিবাদে গত কাল রাজ্যের জাতীয় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি নেয় বিজেপি।

আরও পড়ুন: নোট বাতিলের আঁচে শহরে ভুগছেন রমন

এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আলফোন্স কান্ননথানম মন্দিরে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে আজ সোমবার, সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে মন্দির তত্ত্বাবধায়ক ত্রাভাঙ্কোর দেবস্বম বোর্ড। সব বয়সের মহিলাকে প্রবেশাধিকার দেওয়ার রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালতে আরও সময়ের আবেদন করবে।

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement