‘ওঁরা দেশদ্রোহী’, শাবানার বিরুদ্ধে হুঙ্কার কঙ্গনার

সবাইকে টপকে গিয়েছেন কঙ্গনা রানাবত। তিনি সরাসরি শাবানা আজমি এবং জাভেদ আখতারকে দেশদ্রোহী বলে আখ্যা দিয়ে বসেছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:০৯
Share:

—ফাইল চিত্র।

পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার জবাবে প্রতিশোধের জিগির এবং শান্তিকামী মতামতকে আক্রমণ করার ব্যাপারে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন বলিউড সেলেব্রিটিদের একাংশ। সোনু নিগম, মাধবন, অনুপম খের তো ছিলেনই। সবাইকে টপকে গিয়েছেন কঙ্গনা রানাবত। তিনি সরাসরি শাবানা আজমি এবং জাভেদ আখতারকে দেশদ্রোহী বলে আখ্যা দিয়ে বসেছেন।

Advertisement

কেন? শাবানার বাবা, কবি কাইফি আজমির এটা জন্মশতবর্ষ। সেই উপলক্ষে পাকিস্তানের করাচি আর্ট কাউন্সিলের পক্ষ থেকে শাবানাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল কাইফি স্মরণে একটি অনুষ্ঠানে। পুলওয়ামার ঘটনার পরে শাবানা জানিয়ে দেন, তিনি ওই অনুষ্ঠানে যাবেন না। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান চলতে পারে না, টুইটে লেখেন তিনি।

কঙ্গনার দাবি, শাবানাদের যে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পাকিস্তানে এবং তাঁরা যে প্রাথমিক ভাবে সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন, সেটাই তাঁদের দেশদ্রোহের ‘প্রমাণ’। কঙ্গনার অভিযোগ, শাবানার মতো শিল্পীরা শত্রুদের মনোবল বাড়িয়ে থাকেন! তাঁরা নাকি ‘ভারত তেরে টুকড়ে হোঙ্গে’ বলে স্লোগান তোলেন। এখন পাক সফর বাতিল করে মুখরক্ষা করা যাবে না, হুঙ্কার কঙ্গনার। তাঁর মতে, বলিউড ইন্ডাস্ট্রি ‘দেশদ্রোহী’তে ভরে গিয়েছে! পাকিস্তানকে ধ্বংস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত। যারা শান্তির কথা বলবে, তাদের রাস্তায় ধরে চড় মারা উচিত বলেও নিদান হেঁকেছেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন: নেটফ্লিক্স বা ইউটিউবে সিনেমা আপলোড করলে আটকাতে পারবেন তো? প্রশ্ন অনীকের

কঙ্গনার তর্জনের উত্তর অবশ্য খুব শান্ত ভাবেই দিয়েছেন শাবানা। প্রবীণ অভিনেত্রীকে এক সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘গোটা দেশ যখন শোকার্ত মনে নিহত জওয়ানদের স্মরণ করছে, তখন আমাকে কে ব্যক্তিগত আক্রমণ করল, সেটা কি আদৌ মাথা ঘামানোর মতো বিষয়? ঈশ্বর ওকে (কঙ্গনাকে) আশীর্বাদ করুন!’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement