এই সাজ্জাদকেই গাড়ির মালিক বলে চিহ্নিত করেছে এনআইএ।—নিজস্ব চিত্র।
পুলওয়ামার সেই বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির মালিকের হদিশ পেল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা(এনআইএ)। তার একটি ছবিও সামনে এনেছেন গোয়েন্দারা। তাতে জানা গিয়েছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি হামলায় ব্যবহৃত সেই গাড়িটি আসলে উপত্যকার বাসিন্দা সাজ্জাদ নামের এক পড়ুয়ার। হামলার পর থেকেই নিখোঁজ সে।
সোমবার এনআইএ-র তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছিল হামলায় ব্যবহৃত গাড়িটি। গাড়ির মালিক কে জানতে ফরেন্সিক ও গাড়ি বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নেওয়া হয়। বিস্ফোরণস্থল থেকে ওই গাড়ির অংশবিশেষ উদ্ধার করে তদন্ত চলছিল। তা থেকে জানা যায়, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত ওই গাড়িটি আসলে, জি১২বিএন১৬৪১৪০ ইঞ্জিন বিশিষ্ট মারুতি সুজুকি ইকো মডেল। চ্যাসি নম্বর এমএ৩ইআরএলএফ১এসওও১৮৩৭৩৫।
২০১১ সালে অনন্তনাগের হেভেন কলোনির বাসিন্দা মহম্মদ জলিল আহমেদ হাকানি ওই গাড়িটি কেনেন। তার পর থেকে মোট সাতবার হাতবদল হয়েছে গাড়িটি। এ বছর ৪ ফেব্রুয়ারি সেটি বিজবেহারার বাসিন্দা মহম্মদ মকবুল ভাটের ছেলে সাজ্জাদ ভাটের হাতে পৌঁছয়। সোপিয়ানের সিরাজ-উল-উলুমে পাঠরত সাজ্জাদ। ২৩ ফেব্রুয়ারি তার বাড়িতে হানা দেন এনআইএ গোয়্ন্দারা। কিন্তু তার হদিশ মেলেনি। এখনও পর্যন্ত গা ঢাকা দিয়েই রয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে সাজ্জাদের একটি ছবি সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যার ভিত্তিতে সে-ও পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন ও পুলওয়ামার হামলাকারী জইশ-ই-মহম্মদে যোগ দিয়েছে বলে ধারণা রাজ্য পুলিশের।
আরও পড়ুন: আরও একটা বড়সড় হামলার ছক কষছিল জইশ! ধৃত দুই জঙ্গিকে জেরা করে মিলল বিস্ফোরক তথ্য
আরও পড়ুন: খবর থাকা সত্ত্বেও জওয়ানদের মৃত্যুর মুখে ঠেললেন রাজনীতি করবেন বলে? আক্রমণাত্মক মমতা
অবন্তিপুরায় হাইওয়ের উপর বেশ কিছু দোকানপাট রয়েছে। সেখানে বসানো সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই গাড়িটিকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)