Ed Sheeran Weight Loss Journey

মদ্যপান ও কবাব ছেড়ে ১৪ কেজি ওজন হ্রাস এড শিরানের, বিশেষ কারণে স্বাস্থ্যোদ্ধারের সফর শুরু

দুই কন্যার কারণেই স্বাস্থ্যোদ্ধারের সফর শুরু হয় এড শিরানের। ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সের সময়কালে যে গায়ক মদ্যপান আর কবাব ছাড়া খাবার খেতেন না, তিনি এখন স্বাস্থ্যকর জীবনের প্রচারে নেমেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৪
Share:

কী ভাবে স্বাস্থ্যকর যাপন শুরু করেন এড শিরান? ছবি: সংগৃহীত।

গত ৫ বছরে ১৪ কেজি ওজন কমিয়ে ছিপছিপে হয়েছেন এড শিরান। কোভিডের সময় থেকে তাঁর যাত্রা শুরু হয়। তবে তথাকথিত সুন্দর চেহারা পাওয়ার জন্য রোগা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেননি আমেরিকার সঙ্গীতশিল্পী। তাঁর জীবনে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসে বাবা হওয়ার পর। নিজের স্বাস্থ্যে ও যাপনের প্রতি তাঁর সমস্ত দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে যায় সেই সময়ে। নতুন ভাবে দেখতে শেখায় পিতৃত্ব। দায়িত্বশীল বাবা হতে চাওয়ার ইচ্ছেই তাঁকে ধীরে ধীরে বদলে দেয়।

Advertisement

দুই কন্যা লাইরা এবং জুপিটারের জন্য তাঁর স্বাস্থ্যোদ্ধারের সফর শুরু হয়। এখনও সেই রাস্তা থেকে বিচ্যুত হননি গায়ক। স্ত্রী চেরি সিবর্নও তাঁর এই যাত্রায় ক্রমাগত এডকে উদ্বুদ্ধ করে গিয়েছেন।

এড শিরান নিজেই স্বীকার করেছেন, এক সময় তার যাপন মোটেও স্বাস্থ্যকর ছিল না। নিয়মিত মদ্যপান, অনিয়ন্ত্রিত খাওয়াদাওয়া, ধূমপান— সব মিলিয়ে শরীরের যত্ন নেওয়ার কথা ভাবার মতো মানসিক অবস্থায় তিনি ছিলেন না। গান, সফর আর কাজের চাপে নিজের শরীরকে অবহেলা করাই যেন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল। তাঁর কথায়, ‘’১০ বছর আগে আমি বিয়ার আর কবাব খেয়েই দিন কাটাতাম। সন্তানের জন্মের পর সমস্ত বদভ্যাস বদলে ফেলি। তার পর থেকেই শরীরচর্চা আর পরিমিত খাওয়াদাওয়া শুরু করি। বছরের শুরুতে ‘ড্রাই জানুয়ারি’ (অর্থাৎ মদ্যপান ছাড়া গোটা মাস কাটানো) দিয়ে শুরু করেছিলাম। তার পর ধীরে ধীরে সবটা ছেড়ে দিই।’’ প্রথম সন্তানের জন্মের পর দৃষ্টিভঙ্গিতে বড় বদল আসে। তিনি বুঝতে পারেন, সুস্থ না থাকলে সন্তানের প্রতি দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করা সম্ভব হবে না।

Advertisement

এর পর ধীরে ধীরে শুরু হয় অভ্যাস বদলের পথচলা। খাওয়াদাওয়ায় সংযম আসে, অপ্রয়োজনীয় খাওয়া ও পান করার প্রবণতা কমে। শরীরচর্চা হয়ে ওঠে দৈনন্দিন জীবনের অংশ। দৌড়োনো, সাঁতার কাটা, শক্তিবৃদ্ধি করার ব্যায়াম, যোগাসন, পিলাটিজ়— সব মিলিয়ে স্বাস্থ্যকর রুটিন তৈরি করেন নিজের জন্য। শরীরচর্চা করার ফলে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট খাওয়ার প্রবণতাও কমে। গান যেমন তাঁর জীবনের অংশ, তেমনই এখন সুস্থ থাকা আর সচেতন জীবনযাপনও তাঁর লক্ষ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement