উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে জয় এক্কেবারে পাকা। শুরু হয়ে গিয়েছে বিজয়োৎসব। দুই রাজ্যেই সদর্পে জয় ছিনিয়ে নিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তাঁর বিজয়রথ পঞ্জাবে গিয়ে থমকে গেল। পর পর দু’বার পঞ্জাবের সরকারে থাকা অকালি-বিজেপি জোটকে ব্যাকফুটে পাঠিয়ে জয় ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস।
পঞ্জাবে সাধারণত পাঁচ বছর অন্তর অন্তর ক্ষমতার হাতবদল হয়। কিন্তু গত ২০১২ সালে সব হিসেবনিকেশ উল্টে দিয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য মসনদে বসে ক্ষমতাসীন শিরোমণি অকালি দল ও বিজেপি জোট। ফলে ১০ বছর একজোট ক্ষমতায় থাকায় প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া ছিল তীব্র। পঞ্জাবের ড্রাগ সমস্যা নিয়ে জোরদার প্রচার চালিয়ে বড় মুখ হিসেবে উঠে আসেন অরবিন্দ কেজরীবাল। যার জেরে এ রাজ্যে ভোটের লড়াই এ বার ছিল ত্রিমুখী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচ ছিনিয়ে নিল কংগ্রেস।
১১৭ আসনের পঞ্জাব বিধানসভা। ইতিমধ্যেই ম্যাজিক ফিগার ৫৯-এ পৌঁছে গিয়েছে কংগ্রেস। পঞ্জাবে প্রায় ৮১টির উপর আসনে জয় নিশ্চিত করার পথে রাহুল গাঁধীর দল। ক্ষমতাসীন বিজেপি-অকালি জোট ধারেকাছেও নেই। দাগ কেটেছে আম আদমি পার্টি। প্রাপ্ত আসনের বিচারে আপ দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে। কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ৩৮.২ শতাংশ। অকালি দলের প্রাপ্ত ভোট ২৪.৮ শতাংশ। বিজেপি’র ঝুলিতে এসেছে মাত্র ৬.২ শতাংশ ভোট। সেখানে আপ পেয়েছে ২৩.৮ শতাংশ ভোট।
আরও পড়ুন: বেনজির গেরুয়া ঝড় উত্তরপ্রদেশে, শোচনীয় ভরাডুবির মুখে সপা-কংগ্রেস-বসপা
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে লড়ে মাত্র ৯০টি ভোট পেলেন শর্মিলা
ইতিমধ্যেই ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহ সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে কংগ্রেসের এই জয়কে পঞ্জাবের সাধারণ মানুষের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন। জন্মদিনের সেরা উপহার পেলেন ক্যাপ্টেন। তাঁর হাত ধরেই ১০ বছর পর পঞ্জাবে ক্ষমতায় ফিরল কংগ্রেস। বিজেপি-অকালি জোটের এই ভরাডুবিকে উন্নাসিকতার হার বলেও উল্লেখ করেছেন কংগ্রেসের টিকিটে জেতা প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিংহ সিধু।