কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। ছবি- পিটিআই
শুধু একটি বাইপাস সার্জারি করতে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। আর সেই সার্জারি করেই তিনি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা সংক্রান্ত যাবতীয় গোপন নথিপত্র সরিয়ে ফেলেছিলেন। গায়েব করেছিলেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী এই অভিযোগ করেছেন। তাঁর দাবি, রাফাল কাণ্ডে তদন্ত হোক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও।
৩৬টি রাফাল বিমান কেনার ক্ষেত্রে মোদী সরকারের ভূমিকা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাহুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আমি আর নতুন করে কোনও অভিযোগ-টভিযোগ করতে চাই না। আর কিছু বলার নেই আমার। ওই সব নথিপত্রের ব্যাপারে সরকারের তরফেই তো সব কিছু বলে দেওয়া হয়েছে।’’ সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, রাফাল সংক্রান্ত যাবতীয় গোপন সরকারি নথিপত্র ‘চুরি’ হয়ে গিয়েছে।
রাহুলের ইঙ্গিত, কোনও ‘নকল’ জিনিস তো আর চুরি হয় না। বলেছেন, ‘‘সরকারের তরফে আদালতে দেওয়া ওই বিবৃতিতেই স্পষ্ট সংশ্লিষ্ট নথিপত্রগুলি ভুতুড়ে ছিল না। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর (নরেন্দ্র মোদী) নাম রয়েছে। রাফাল চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) কী ভূমিকা ছিল, তারও উল্লেখ রয়েছে। সেগুলি চুরি হয়ে গিয়েছে বলে সরকারই জানিয়েছে। ফলে সেই সব নথি নিয়ে আর কোনও সন্দেহ, সংশয় থাকল না। এটাই তো সবচেয়ে বড় প্রমাণ। ফলে, অন্যরা অভিযুক্ত হলে এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীকেও অভিযুক্ত হতে হবে।’’
আরও পড়ুন- ‘চৌকিদারের’ ঘর থেকেই চুরি! উধাও রাফাল-চুক্তির নথি
আরও পড়ুন- রাহুল-কুমারস্বামীর রফা, মোদীর মতে ‘মহাভেজাল’
রাহুলের আরও অভিযোগ, ‘‘শিল্পপতি অনিল অম্বানীকে বড় সুযোগসুবিধা পাইয়ে দিতেই রাফাল কেনা নিয়ে টালবাহানা চলছিল।’’
বিষয়টি এখন আদালতের এক্তিয়ারে, এ কথা মনে রেখেই কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘‘বিচার যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ হয়, সেটা এ বার আদালত আর সরকারকে সুনিশ্চিত করতে হবে।’’
রাহুলের এই অভিযোগকে অবশ্য বিজেপির তরফে ‘ভিত্তিহীন ও লজ্জাজনক’ বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান যদি রাফাল চুক্তিকে স্বীকৃতি দেয়, তা হলেই উনি সে কথা শুনবেন। উনি তো ভারতের চেয়ে পাকিস্তানকে বেশি বিশ্বাস করেন।’’