Jammu and Kashmir

প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি খড়্গে এবং রাহুলের, ওমরের স্বাগতবার্তা

রাহুল ও খড়্গে ওই চিঠিতে আইন করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রীর ও সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে তাঁদের দাবি, সেটি রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করার সরকারি প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৫ ০৮:১৪
Share:

(বাঁ দিকে) রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খড়্গে (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সংসদে বাদল অধিবেশনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছেন আইন এনে জম্মু-কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি জানিয়ে। কংগ্রেসের উদ্যোগটি জরুরি ও সময়োচিত বলে উল্লেখ করে স্বাগত জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা। আজ শ্রীনগরে ওমর বলেন, “আগেই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি, এমন কোনও কিছু তো আমরা চাইছি না। রাজ্যের মর্যাদা ঠিক সময়ে দেওয়া হবে বলে বহু বার আমাদের বলা হয়েছে। এ বার কেন্দ্রের সংসদে, প্রকাশ্যে এবং শীর্ষ আদালতে দেওয়া কথা রাখার পালা।”

রাহুল ও খড়্গে ওই চিঠিতে আইন করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল লাদাখের সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রীর ও সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে তাঁদের দাবি, সেটি রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করার সরকারি প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘এটা মেনে নেওয়া দরকার, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার উদাহরণ রয়েছে। কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের ঘটনার নজির স্বাধীন ভারতে নেই। দ্বিখণ্ডিত হওয়ার পরে কোনও পূর্ণ রাজ্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নামিয়ে আনা হল এই প্রথম।’

২০২৪-এর মে মাসে ভুবনেশ্বরে মোদী জানান যে, জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাঁর সরকার। সেপ্টেম্বরে শ্রীনগরে তিনি বলেছিলেন, “আমরা সংসদে বলেছি, এই অঞ্চলের রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবে।” এই কথাগুলির উল্লেখ চিঠিতে করে রাহুল ও খড়্গে বলেছেন, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ লোপের মামলায় সুপ্রিম কোর্টে যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এই সূত্রে সরকারকে তাঁরা আবেদন করেছেন, আসন্ন বাদল অধিবেশনে সংসদে জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দিতে একটি আইন আনা হোক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন