দরখাস্তের গোছা হাতে রাহুল বসলেন সিপিএমের সঙ্গেও

চার লক্ষ ভোটে জেতার পরে কেরলের ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্রের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে তিন দিনের সফরে গিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী।

Advertisement

সন্দীপন চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০১৯ ০২:১৭
Share:

ফাইল চিত্র।

তিন দিনে প্রায় সাড়ে তিন হাজার। দিল্লি-নিবাসী সাংসদকে কাছে পেয়ে তাঁর হাতে হাজারে হাজারে দরখাস্ত তুলে দিলেন ওয়েনাডের বাসিন্দারা। তার মধ্যে বেশ কিছু আবেদন মাথায় রাখার জন্য কংগ্রেস সাংসদ আবার স্থানীয় সিপিএম বিধায়কের কাছে আবেদন জানালেন।

Advertisement

চার লক্ষ ভোটে জেতার পরে কেরলের ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্রের মানুষকে ধন্যবাদ জানাতে তিন দিনের সফরে গিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্রের নানা জায়গায় ৬টি রোড-শো এবং কয়েকটি ছোট সভা করেছেন তিনি। আর সেই অবসরেই স্থানীয় মানুষ এলাকার নানা সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জানিয়েছেন সাংসদকে। রাহুল বলেছেন, জনতার কাছ থেকে আসা বেশ কিছু আবেদন ‘গুরুত্বপূর্ণ’। রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করেই ওই সব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা হবে।

স্থানীয় সমস্যার বিহিত খোঁজার লক্ষ্যেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল বৈঠকে বসেছিলেন কালপেট্টার সিপিএম বিধায়ক সি কে শশীন্দ্রনের সঙ্গে। ওয়েনাডের জেলাসদর কালপেট্টায় শনিবার রাত কাটান রাহুল। সেখানেই ডেকে নেন স্থানীয় বিধায়ককে। এলাকার মানুষ যে সব সমস্যার কথা বলছেন, তার সমাধানে তাঁরাও যাতে উদ্যোগী হন এবং সাংসদের সাহায্য প্রয়োজন হলে নির্দ্বিধায় যেন তাঁকে জানান— এই আবেদনই বিধায়কের কাছে করেছেন রাহুল। পরে শশীন্দ্রন বলেন, ‘‘দু’টো দলের মধ্যে রাজনৈতিক পার্থক্য আছে। কিন্তু উন্নয়নের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে কোনও সমস্যা নেই।’’

Advertisement

শুধু বিধায়ককে ডেকে কথা বলাই নয়, রাজ্যের বাম সরকারের পাশেও দাঁড়িয়েছেন রাহুল। ত্রিশূরের গুরুভায়ুর মন্দিরে পুজো দিতে শনিবার কেরলে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তাঁর মন্তব্য ছিল, গুরুভায়ুর তঁর কাছে বারাণসীর সমান প্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ। যাঁরা বিজেপিকে ভোট দেননি, সেই সব মানুষের স্বার্থেও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি কাজ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন মোদী। কিন্তু সেই আশ্বাসে সংশয় প্রকাশ করে রাহুল বলেছেন, ‘‘মোদীর সরকারের কাছে কেরল কি কখনও উত্তরপ্রদেশের সমান গুরুত্ব পাবে? এই কেন্দ্রীয় সরকার বিজেপি ও অ-বিজেপি সরকারের মধ্যে বরাবরই তফাত করে চলে। কেরলে সিপিএমের সরকার আছে। আমি জানি, মোদী কখনওই তাদের উত্তরপ্রদেশ সরকারের মতো করে দেখবেন না!’’

স্থানীয় মানুষের অভাব-অভিযোগের খতিয়ান নিয়মিত নেওয়া এবং তাঁকে পাঠানোর জন্য ওয়েনাডের কংগ্রেস নেতাদের রাহুল দিল্লি রওনা হওয়ার আগে নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা নন্দকিশোর হরিকুমার বলছেন, ‘‘এমন অনেক বিষয়ে বাসিন্দারা চিঠি দিয়েছেন, যা নিয়ে সাংসদের কিছু করার নেই। কিন্তু এটা এক ধরনের জনসংযোগ। রাহুলজি’র নির্দেশে ওয়েনাডে সাংসদের কার্যালয় খুলে আমরা মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখব।’’

অন্য একটি পরামর্শও ওয়েনাড এবং কেরলের কংগ্রেস নেতাদের জন্য রেখে গিয়েছেন রাহুল। তিনি দলের সভাপতি থাকলেন কি না, তা নিয়ে মাথা ঘামানোর দরকার নেই। সাংসদ হিসেবে কেরলে তাঁর কড়া নজর থাকবে!

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement