গুজরাতে বিজেপিকে ধাক্কা দেওয়ার পরে নরেন্দ্র মোদীর ভোট-কেন্দ্র বারাণসী দখল করতে ঘুঁটি সাজাচ্ছেন রাহুল গাঁধী।
লোকসভা ভোটের এখনও ঢের দেরি। কিন্তু বারাণসীতে মোদীকে হারাতে রাহুল এতই তৎপর যে, ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে দলের কিছু নেতার মত চেয়েছেন। এখন থেকেই বারাণসী কেন্দ্রের জন্য খোঁজা হচ্ছে ওজনদার প্রার্থী। কংগ্রেসের একটি সূত্রের মতে, মোদীই বিজেপির একমাত্র তুরুপের তাস। লোকসভার সময়ে তাঁকে যদি নিজের কেন্দ্র বারাণসীতেই ব্যস্ত রাখা যায়, তা হলে গোটা দেশের প্রচারে আঁচ পড়বে। মন্দিরে-মন্দিরে ঘুরে মোদী যে হিন্দুত্ব-তাস খেলছেন, রাহুলও এখন সেই পথে হাঁটছেন। উপরন্তু পাঁচ বছরের প্রতিষ্ঠান-বিরোধী হাওয়াও থাকবে। গুজরাত প্রমাণ করেছে, বিজেপিকে হারানো সম্ভব। ফলে ঠিক কৌশল নিয়ে এখন থেকে জোর দিলে সাফল্য আসতে পারে বিশ্বনাথের শহরেও।
গত লোকসভা ভোটে অরবিন্দ কেজরীবালও বারাণসীতে মোদীকে টক্কর দিয়েছিলেন। তবে কংগ্রেসের বক্তব্য, সেটি আসলে লোক-দেখানো। বিজেপি-বিরোধী ভোটে থাবা বসিয়ে মোদীরই সুবিধা করেছিলেন কেজরী। বিজেপি নেতারাও অবশ্য রাহুলের কেন্দ্র অমেঠীতে লাগাতার সফর করছেন। গুজরাতের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ অমেঠীতে অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলে নিরন্তর রাহুলকে বিঁধেছেন। রাহুলের কাছে গত বার হেরে গেলেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে অমেঠীতেই ব্যস্ত রাখতে চাইছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
রাহুল এ বার পাল্টা চাল চালতে চাইছেন। কংগ্রেস সূত্রের মতে, আনুষ্ঠানিক ভাবে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে এখনই জোট হচ্ছে না। কিন্তু তলে তলে দুই নেতার যোগাযোগ বহাল আছে। সব দল নিজেদের শক্তি বাড়ানোর পরে ‘উপযুক্ত’ সময়ে জোট নিয়ে কথা হবে। সভাপতি হওয়ার পরে ইতিমধ্যেই সংগঠন ঢেলে সাজার কাজে হাত দিয়েছেন রাহুল। কংগ্রেস নেতারা জানাচ্ছেন, ধাপে ধাপে নতুন নাম ঘোষণা করা হবে।