রাহুল-মমতা কথা হল না

কিন্তু কর্নাটক যা-ই রায় দিক, আজ বেঙ্গালুরুর মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের প্রশ্নে কংগ্রেস তথা রাহুলকে সেই গুরুত্ব দিতে তিনি রাজি নন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ মে ২০১৮ ০৪:২৭
Share:

জেডিএস নেতা এইচ ডি দেবগৌড়া স্বীকার করেছেন যে, কর্নাটকে ভোটের ফলের নিরিখে কংগ্রেস অনেকটাই বড় শক্তি। বিজেপি আসন বেশি পেলেও শতকরা ভোটের হিসেবে তাদের থেকে এগিয়ে রয়েছে রাহুল গাঁধীর দল।

Advertisement

কিন্তু কর্নাটক যা-ই রায় দিক, আজ বেঙ্গালুরুর মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের প্রশ্নে কংগ্রেস তথা রাহুলকে সেই গুরুত্ব দিতে তিনি রাজি নন।

কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে এ দিন রাহুলের সঙ্গে দেখা হয়েছে মমতার। হাতজোড় করে সামান্য সৌজন্য বিনিময় করেছেন দু’জনে। কিন্তু কোনও কথা হয়নি। সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে অবশ্য সামান্য সময়ের জন্য হলেও কথা বলতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল নেত্রীকে।

Advertisement

এর আগে আজ দুপুরে তেলুগু দেশম নেতা চন্দ্রবাবু নায়ডুর সঙ্গে তাঁর গেস্ট হাউসে দীর্ঘ বৈঠক করেন মমতা। বৈঠকের পর জানান, আঞ্চলিক দলগুলি একত্রে ‘ফেডারেল সেট আপ’-কে জোরালো করার লক্ষ্যে এগোবে। তাঁর কথায়, “সমস্ত আঞ্চলিক দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আমরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলব। বিভিন্ন রাজ্যের আঞ্চলিক দলগুলি যদি শক্তিশালী না হয়, তা হলে দেশ কী ভাবে এগোবে?” কিন্তু সেই জোটে কংগ্রেসের ভূমিকা কী? মমতার মন্তব্য, “কংগ্রেস একটি আলাদা রাজনৈতিক দল। তারা নিজেদের মতো চলবে। আমরা আমাদের মতো। কংগ্রেসকে নিয়ে আমার কী বলার আছে?”

রাহুল অবশ্য এ দিনের অনুষ্ঠানের পরে করা টুইটে সবার প্রথমে ট্যাগ করেছেন মমতাকে। তার পরে রয়েছেন অখিলেশ, তেজস্বী, শরদ পওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরি, শরদ যাদবের মতো আঞ্চলিক নেতাদের। কেউ বলছেন, মমতাকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন রাহুল। অন্যদের মতে, মহিলা বলেই এমন সৌজন্য দেখিয়েছেন তিনি।

বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সম্প্রতি বলেছেন, আঞ্চলিক দলগুলি কর্নাটকে যাচ্ছে বিজেপি বিরোধিতা করতে। কিন্তু বিজেপি-ই ক্ষমতায় আসবে। মমতার পাল্টা মন্তব্য, “আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে যারা টক্কর দিতে আসবে তারা চূর্ণ হয়ে যাবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement