(বাঁ দিকে) বাজেয়াপ্ত করা নোট। ওড়িশার সরকারি অফিসার চন্দ্র নেপক। ছবি: সংগৃহীত।
ওড়িশার বন দফতরের আরও এক অফিসারের বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় শুক্রবার চলল তল্লাশি অভিযান। এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে অন্তত এক কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা। অভিযোগ, ওই টাকা আয়- বহির্ভূত। নগদ গোনার জন্য আনা হয়েছে যন্ত্রও। মনে করা হচ্ছে, উদ্ধার হওয়া টাকার অঙ্ক আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। নোটের পাশাপাশি ওড়িশার ডেপুটি রেঞ্জার চন্দ্র নেপকের বাড়ি থেকে চারটি সোনার বিস্কুট, ১৬টি সোনার মুদ্রাও উদ্ধার হয়েছে। এক-একটি মুদ্রার ওজন প্রায় ১০ গ্রাম। শুক্রবার এই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ওড়িশার ভিজিল্যান্স দফতর। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, এখনও ওড়িশার ছয় জায়গায় তল্লাশি চলছে, যেগুলির যোগ রয়েছে নেপকের সঙ্গে।
ওড়িশার প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নেপক জয়পুর অরণ্যে ডেপুটি রেঞ্জারের পদে নিযুক্ত রয়েছেন। শুক্রবার তাঁর জয়পুরের ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার হয়েছে। সেই নগদ গোনার জন্য সেখানে যন্ত্র আনা হয়েছে। ওই আবাসনে অন্য একটি ফ্ল্যাটও রয়েছে নেপকের। সেখানেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। জয়পুরে নেপকের পৈতৃক বাড়ি, শ্বশুরবাড়িতেও শুক্রবার চলেছে তল্লাশি। তাঁর দফতরে তল্লাশি চালিয়েছেন ভিজিল্যান্স দফতরের আধিকারিকেরা। ভুবনেশ্বরে তাঁর ভাইয়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে ওড়িশার কেওনঝাড়ে এক ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসারের বাড়ি-সহ সাতটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। তল্লাশি চালিয়ে আধিকারিকেরা জানতে পেরেছেন, নিত্যানন্দ নায়েক নামে ওই অফিসারের নামে ওড়িশায় ১১৫টি জমি রয়েছে। তাঁর বাড়ি থেকে ২০০ গ্রাম সোনা, নগদ ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা, দামি জিনিস, রাইফেল বাজেয়াপ্ত করেছেন ভিজিল্যান্স দফতরের আধিকারিকেরা। ওড়িশার আঙ্গুলে তাঁর একটি চারতলা বাড়ি রয়েছে। নিত্যানন্দের চারটি গাড়ি, চারটি বাইক, সেগুন কাঠের দামি জিনিসপত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযানকারী আধিকারিকদের একটি সূত্র বলছে, ওড়িশার কোনও সরকারি আধিকারিকের কাছে এত দামি জিনিসপত্র নেই, যা নিত্যানন্দের কাছে রয়েছে।