কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ। ছবি সৌজন্যে: ইউটিউব।
নিয়মমাফিক গাড়ি না চালানোয় এক পুলিশ কর্মী জরিমানা করেছিলেন। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল থানা চত্বর। থানায় চড়াও হওয়ার পাশাপাশি কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল। সোমবার রাজস্থানের কোটার ঘটনা।
সিসিটিভিতে গোটা ঘটনার কিছু অংশ ধরা পড়েছে। সেখানে ওই থানার ওসির গালে চড় মারতে দেখা গিয়েছে রাজস্থানের বিজেপি বিধায়ক চন্দ্রকান্ত মেঘবালের স্বামী নরেশ মেঘবালকে। তবে, এই ঘটনায় ওই আধিকারিক-সহ চার পুলিশকর্মীকে বদলি করা হয়েছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নরেশ প্রচুর লোকজন নিয়ে থানায় রয়েছেন। সঙ্গে তাঁর বিধায়ক স্ত্রীও ছিলেন। পুলিশকর্মীদের ঘিরে রেখেছেন তাঁরা। ওই ভিড়ের ভিতর এক জন ছিলেন, যাঁকে নিয়ম না মেনে গাড়ি চালানোয় জরিমানা করা হয়েছিল। জরিমানার টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। গোটা ঘটনাটাই ঘটছিল নরেশের নেতৃত্বে। এর পরেই শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। একটা সময় ওসির গালে চড়ও কষিয়ে দেন নরেশ। এর পরে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে গোটা ভিড়টাকে থানা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। আর তাতেই আগুনে যেন আগুনে ঘি পড়ে। শুরু হয় দু’পক্ষের মারামারি। পুলিশকর্মীদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়।
আরও পড়ুন: অন্য অস্ত্র অকেজো, অখিলেশের রাজ্যে মোদী-অমিতের ভরসা মেরুকরণই
কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধর করার অভিযোগে নরেশ এবং প্রায় ১২ জন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। চন্দ্রকান্তের দাবি। তাঁর স্বামী এবং দলীয় অন্য কর্মীদের আক্রমণ করার পাশাপাশি থানায় আটকে রাখা হয়। তাঁর কথায়, ‘‘কোনও থানায় এমন পুলিশ কর্মী দেখিনি। আমাদের অনেক কর্মী মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি।’’ বিধায়কের আরও অভিযোগ, ধাক্কাধাক্কিতে তাঁর শাড়ি ছিড়ে গিয়েছে। ভেঙে গিয়েছে হাতের বালা।
কোটা পুলিশ সুপার সাওয়াই সিংহ গোদারা বলেন, ‘‘চার পুলিশ কর্মীকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’’ রাজস্থানের মন্ত্রী রাজেন্দ্র রাঠৌর বলেন, ‘‘আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারও নেই। তদন্ত করে দোশীদের বিরুদ্ধে যথাযত ব্যবস্তা নেওয়া হবে।’’ তাঁর আরও দাবি, মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে গোটা ঘটনার কথা জানেন।