পাকিস্তানি তরুণীর পাতা ফাঁদে পা দিয়ে বিপাকে রাজস্থানের যুবক। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে রাজস্থান থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, গত দু’বছর ধরে তিনি সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার করে আসছিলেন। শুক্রবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থানের গোয়েন্দা বিভাগ। ১৯২৩ সালের অফিসিয়াল সিক্রেট্স আইনে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে।
ধৃতের নাম মঙ্গত সিংহ, রাজস্থানের অলওয়ারের বাসিন্দা। পাকিস্তানের গোয়েন্দা বিভাগ আইএসআই-এর দু’জনের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। মঙ্গতের ফোন, ল্যাপটপ ঘেঁটে তদন্তকারীরা তা জানতে পেরেছেন। অভিযোগ, অলওয়ার সেনা ক্যান্টনমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তিনি পাকিস্তানে পাঠাতেন নিয়মিত। ওই এলাকা জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের (এনসিআর) অধীন। ফলে প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তার দিক থেকে অঞ্চলটি বরাবর বাড়তি সংবেদনশীল।
মঙ্গত প্রেম ও যৌনতার ফাঁদে পা দিয়েছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন। বছর দুয়েক আগে তাঁর সঙ্গে ‘ঈশা শর্মা’ নামের এক পাকিস্তানি মহিলার আলাপ হয়েছিল সমাজমাধ্যমে। তিনি মঙ্গতকে টাকা এবং যৌনতার লোভ দেখান, তাঁর অনুভূতি, দুর্বলতার সুযোগ নেন এবং তথ্য পাচারে রাজি করান। রাজস্থানের গোয়েন্দা বিভাগের ডিআইজি রাজেশ মীল বলেছেন, ‘‘গ্রেফতারির আগের মুহূর্ত পর্যন্ত এই ব্যক্তি পাকিস্তানে তথ্য পাচার করেছেন। দু’জনের সঙ্গে নিয়মিত ওঁর যোগাযোগ ছিল। মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন হয়েছে ওঁদের মধ্যে। কী ভাবে কোন পথে টাকা লেনদেন হয়েছে, তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’’
আপাতত জয়পুরের কেন্দ্রীয় জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্রে মঙ্গতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তাঁর কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা গিয়েছে। বস্তুত, ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সেনা সংঘর্ষের পর থেকে রাজস্থান, গুজরাত, কাশ্মীরের মতো পাক সীমান্ত সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে নিরাপত্তা, নজরদারি বেড়ে গিয়েছে। গোয়েন্দারা আগের চেয়ে বেশি সতর্ক হয়েছেন। দীর্ঘ দিন ধরে মঙ্গতের উপর নজর রাখা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। উপযুক্ত প্রমাণ মেলার পর গ্রেফতার করা হল।