রজনীকে রাজনীতিতে নামাতে ভক্তেরা রাস্তায়

এডিএমকে শিবিরের এই তৎপরতার মধ্যেই বিরোধী দল ডিএমকের কাছাকাছি এসেছেন আর এক সুপারস্টার কমল হাসান। আর নতুন সমীকরণের হাওয়া জোরালো করে দিতে আজ থেকেই সক্রিয় হয়েছেন রজনী-ভক্তরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৭ ০৪:২৭
Share:

রজনী-ভক্তরা অবশ্য চান নতুন দল গড়ুন রজনীকান্ত।

তিন মাস আগে বলেছিলেন, ‘ঈশ্বরের যদি ইচ্ছে হয়, কালকেই রাজনীতিতে আসব।’’

Advertisement

তিন মাস কেটে গিয়েছে। তিনি রাজনীতিতে আসেননি। তবে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে সে দিনের সেই একটা ঠোট্ট কথাই ছিল অনেক কিছু। জল্পনা ডালপালা মেলেছিল বিরাট ভাবে। কারণ, যিনি ঈশ্বরের নাম নিয়ে রাজনীতির মঞ্চে পৌঁছে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি আর কেউ নন, তামিল ছবির সুপারস্টার রজনীকান্ত।

সেই আশাকে সামনে রেখেই রাজ্যে আজ ব্যাপক সাড়া ফেলেছে রজনী-ভক্তদের জনসভা। ত্রিশূরে এই সভা ঘিরে হাজার হাজার সমর্থকদের জমায়েত থেকে একটাই আর্জি— তামিলনাড়ুর দুর্দিনে হাল ধরুন থালাইভা (নেতা) রজনীকান্ত। সভার আয়োজক গান্ধীয়া মাক্কাল আয়াক্কম (গান্ধীবাদী জন আন্দোলন)-এর নেতা তামিলাড়ুভি মনিয়ম, সুপারস্টার রজনীকান্তকে তামিল ছায়াছবির কিংবদন্তী এম জি রামচন্দ্রনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বলেছেন, এমজিআর কিংবা জয়ললিতা যে ভাবে তামিল রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন, এখন রজনীকান্তেরও সময় হয়েছে সে ভাবে রাজনীতির আলোর সামনে চলে আসার। অনেকেই মনে করছেন, আসলে জনজোয়ারের এই আর্জির মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে আসার বিষয়টি নিয়ে জল মাপছেন সুপারস্টার।

Advertisement

আরও পড়ুন: লাদাখে ভারতীয় ও চিনা সেনার মারপিটের ভিডিও

রজনীর প্রসঙ্গ বাদ দিলেও তামিল রাজনীতি এখন সন্ধিক্ষণে পৌঁছেছে। এডিএমকের দুই শিবিরের মিলনের বিষয়টি গত শুক্রবারেই চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা আটকে যায়। তবে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভম আজ জানিয়েছেন, মিলনের কথাবার্তা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ‘ভাল খবর’ মিলতে চলেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। পনীর শিবিরের খবর, শশিকলাকে দল থেকে বহিষ্কার করার শর্ত মেনে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পলানীস্বামী। তার পরে কথাবার্তা যে পথে এগিয়েছে, তাতে হয়ত আগামী কালই দুই শিবিরের মিলনের ঘোষণা হতে পারে। এডিএমকে সূত্রের খবর, পলানীস্বামী মুখ্যমন্ত্রী থাকলেও দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে পনীরসেলভমের হাতে। পনীরসেলভমকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ ও তাঁর সহযোগীদের মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হবে— এই ফর্মূলাতেই দু’পক্ষের সমঝোতা হয়েছে।

এডিএমকে শিবিরের এই তৎপরতার মধ্যেই বিরোধী দল ডিএমকের কাছাকাছি এসেছেন আর এক সুপারস্টার কমল হাসান। আর নতুন সমীকরণের হাওয়া জোরালো করে দিতে আজ থেকেই সক্রিয় হয়েছেন রজনী-ভক্তরা। তাঁদের দাবি, বিজেপির সঙ্গে যাওয়া নয়, নতুন দল গড়ুন রজনীকান্ত। তাতেই মোড় ঘুরে যাবে তামিল রাজনীতির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন