কংগ্রেসের সদর দফতরের দিকে তাক করে আছে রাফাল যুদ্ধবিমান!
ফ্রান্স থেকে প্রথম রাফাল যুদ্ধবিমানটি ভারতে আসবে চলতি বছরের শেষের দিকে। কিন্তু তার আগেই রাফালের একটি মডেল রাখা হয়েছে আকবর রোডে, কংগ্রেস দফতরের ঠিক উল্টো দিকে। বাংলোটি আসলে বায়ুসেনা প্রধানের। যেখানে এখন থাকেন এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধানোয়া। তাঁর বাংলোর জমিতেই এআইসিসি দফতরের দিকে তাক করে রাখা হয়েছে রাফালের মডেলটি। এবং রাতের অন্ধকারেও যাতে এটি স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়, তার জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভোটের আগে এই কংগ্রেস দফতরে বসেই রাহুল গাঁধী রাফাল যুদ্ধবিমান কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ তুলে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হতেন প্রতি দিন। এখানে বসেই বলেছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে মোদী জেলে যাবেন। এই আকবর রোডে এআইসিসি দফতরের সামনে কংগ্রেসের যুব মোর্চা রাফালের কাট-আউট নিয়ে একাধিক প্রতিবাদ মিছিল করেছে। পুলিশের লাঠিও খেয়েছেন কর্মীরা, চলেছে জলকামান। কংগ্রেসের ভরাডুবির পর এখন তাদের দিকে রাফাল তাক করে কি ফের বকলমে শক্তি দেখাচ্ছে মোদীর সরকার? ঠিক যে ভাবে বায়ুসেনা প্রধানের পাশের জমিতেই ভোটের পরে নতুন গুজরাত ভবনের উদ্বোধন আসলে ‘আস্ফালন’ বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেস। আর এই ঘিরেই শুরু হয়েছে নয়া বিতর্ক।
বায়ুসেনা সূত্র বলছে, রাফালের এই মডেলটি মাসখানেক আগেই সেখানে বসানো হয়েছে। হতে পারে অনেকের নজরে পড়েনি। রাফাল প্রস্তুতকারক সংস্থা দাসোর পক্ষ থেকে এমন দু’টি মডেল ভারতে পাঠানো হয়েছে। প্রথম যে মডেলটি এসেছিল, সেটি দিল্লিতে বায়ুসেনার সদর দফতরের ভিতরে বসানো হয়েছে। জনসাধারণের চোখে পড়েনি সেটি। আর এটি দ্বিতীয় মডেল। আগে বায়ুসেনা প্রধানের বাড়ির সামনে সুখোই-৩০ রাখা ছিল। এখন তার বদলে রাফাল রয়েছে। মডেলে চারটি মিসাইল, সেন্টারলাইন ড্রপ ট্যাঙ্ক, দুটো ‘আন্ডার উইং ড্রপ ট্যাঙ্ক’ও জুড়ে আছে। বায়ুসেনা প্রধান ক’দিন আগেই বলেছিলেন, একবার রাফাল এসে গেলে সেটি ‘গেম-চেঞ্জার’ হবে। সেটি এসে গেলে শত্রুরাও আকাশ পথে হামলা করার কথা ভাববে না। ভারতের আকাশ-শক্তিতেও ভারসাম্য ফিরে আসবে।