এস জয়শঙ্কর। — ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় নাম না-করেই আমেরিকা এবং চিনকে নিশানা করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জন্য ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। তার পরেও অবশ্য মস্কো থেকে তেল আমদানি জারি রেখেছে নয়াদিল্লি। এই আবহে শনিবার জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত তার নিজের পছন্দ নিজেই বেছে নেবে।” মনে করা হচ্ছে, এ কথা বলে আদতে আমেরিকাকেই বার্তা দিতে চেয়েছেন জয়শঙ্কর।
এই সূত্রে চিনের নাম না করে বেজিংকে নিশানা করেন জয়শঙ্কর। জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে কোনও সম্পদের সরবরাহ এবং বণ্টন সহজ এবং স্বাভাবিক করার পক্ষে সওয়াল করেন। জানান, কোনও জিনিসের উৎপাদন যদি সীমিত হয় আর নির্দিষ্ট বাজারে যদি তার চাহিদা থাকে, তা হলে তার সরবরাহ সুনিশ্চিত করা জরুরি। মনে করা হচ্ছে, দুষ্প্রাপ্য খনিজ নিয়ে চিন যে চাপ তৈরির কৌশল নিয়ে থাকে, তাকেই নিশানা করতে চেয়েছেন জয়শঙ্কর। জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা শুল্ক নিয়ে একটা অস্থিরতা দেখতে পাচ্ছি। তার ফলে বিভিন্ন বাজারে প্রবেশাধিকার পাওয়ার বিষয়টি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”
রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের উপর শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। অথচ রাশিয়া থেকে ভারতের তুলনায় বেশি তেল আমদানি করলেও এখনও পর্যন্ত বেজিঙের উপর কোনও কড়া শুল্ক-পদক্ষেপ করেনি আমেরিকা। মনে করা হচ্ছে, চিনের দুষ্প্রাপ্য খনিজ হস্তগত করতেই ট্রাম্পের এই কৌশল। ইলেকট্রনিক গাড়ি তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল দুষ্প্রাপ্য খনিজ পদার্থ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই খনিজের জন্য চিনের উপর নির্ভরশীল। চিন নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে ভারতে এই দুষ্প্রাপ্য খনিজ রফতানির বিষয়ে বহু দিন বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছিল। ফলে অসুবিধায় পড়েছিলেন গাড়িনির্মাতারা। তবে সম্প্রতি জয়শঙ্করের সঙ্গে সাক্ষাতে ভারতে দুষ্প্রাপ্য খনিজ রফতানির বিষয়ে আশ্বাস দেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই।