শবরীমালা মন্দির চত্বর। ছবি- পিটিআই।
বছরের এই সময়ে দু’মাস ধরে চলে বার্ষিক তীর্থযাত্রা। এ বার ভিড় জমছে না তেমন। সুপ্রিম কোর্ট প্রবেশের অধিকার দিলেও এখনও পর্যন্ত শবরীমালা মন্দিরে এক জনও ঋতুযোগ্য মহিলা ঢুকতে পারেননি। বিক্ষোভ-সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে কেরল। মন্দির নিয়ে এই টানাপড়েনেই কমেছে পুণ্যার্থী। মন্দির কর্তৃপক্ষ তাই তারকাদের দিয়ে বিজ্ঞাপন করিয়ে ভক্ত টানার কথাও ভাবছেন। এ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে কাল।
এরই মধ্যে গেরুয়া বাহিনী আর রাজ্যে ক্ষমতাসীন বামেরা— উভয় পক্ষই নিজের সমর্থকদের সংহত করতে কোমর বাঁধছে। বাম সরকার ৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘নারী-প্রাচীর’ গড়ার ডাক দিয়েছে ১ জানুয়ারি। আর বিজেপি ঘোষণা করেছে ১৫ দিন ধরে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ-মিছিল করবে।
তার আগে হাওয়া বুঝতে আজ চার প্রতিনিধির একটি দলকে কেরলে পাঠিয়েছেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। দলের কর্মী-সমর্থক ও আয়াপ্পা ভক্তকুলের সঙ্গে কথা বলবে দলটি। শবরীমালা মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত পান্ডলম রাজ-পরিবারের সঙ্গেও দেখা করার কথা। সব পক্ষের মতামত শুনে ১৫ দিনে অমিতকে রিপোর্ট দেবে দলটি। বিজেপির দাবি, মন্দির চত্বরে চাপানো নানা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে হবে। চুপ নেই পিনারাই বিজয়নরাও। রাজ্যকে মধ্যযুগে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা রুখতে কেরলের উত্তর প্রান্তের কাসারসগোড় থেকে রাজধানী পর্যন্ত ‘নারী-প্রাচীর’ তৈরির ডাক দিয়েছেন তাঁরা। ১ জানুয়ারির ওই ‘গ্রেট ওয়াল’-এ লক্ষ লক্ষ মহিলা সামিল হবেন বলে তাঁদের আশা।