Sachin Tendulkar

মুম্বইয়ে প্লাজ়মা থেরাপি বিভাগের উদ্বোধনে সচিন

করোনা সংক্রমণের নিরিখে দেশে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই দু’লক্ষের বেশি মানুষ সেই রাজ্যে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২০ ০৩:৩৯
Share:

প্লাজমা থেরাপি দফতর উদ্বোধনে সচিন। ছবি: পিটিআই।

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে রাশ টানা যাচ্ছে না। প্রতিদিনই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দেড় লক্ষের বেশি মানুষ কোভিড-১৯ রোগাক্রান্ত হয়েছেন। ওই সময় মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ হাজার ৭৫২ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটা ইতিবাচক বলে মনে করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

Advertisement

করোনা সংক্রমণের নিরিখে দেশে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই দু’লক্ষের বেশি মানুষ সেই রাজ্যে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে ৫১৩৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন এবং মারা গিয়েছেন ২২৪ জন। মুম্বইয়ের করোনা পরিস্থিতি আজ সামান্য স্বস্তি দিয়েছে মহারাষ্ট্র প্রশাসনকে। দেশের বাণিজ্য রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭৮৫। প্রশাসনের দাবি, এক দিনে সংক্রমণের হিসেবে গত দু’মাসের মধ্যে এটা সব চেয়ে কম। বৃহন্মুম্বই পুরসভার (বিএমসি) তরফে জানানো হয়েছে, গত কাল ধারাভি বস্তিতে এক জন ব্যক্তি নতুন করে কোভিড রোগাক্রান্ত হয়েছিলেন। আজ সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে তিন। যদিও পুর প্রশাসনের একাংশ এতে আশার আলো দেখছে। তাদের মতে, ধারাভিতে করোনা সংক্রমণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। মুম্বইয়ের আন্ধেরির সেভেন হিলস হাসপাতালে আজ প্লাজ়মা থেরাপি বিভাগের উদ্বোধন করেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সচিন তেন্ডুলকর। এই বিভাগটি চালু করেছে বিএমসি। যাঁরা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, এখানে তাঁদের প্লাজ়মা সংগ্রহ করা হবে। ওই বিভাগের উদ্বোধন করে সচিন বলেন, ‘‘আমরা একটি অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, পুরসভার কর্মী ও পুলিশকর্মীরা করোনা রোগাক্রান্তদের সুস্থ করে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন।’’

সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুর করোনা পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। আজ ৩৭৫৬ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ৩ লক্ষ পরিযায়ীর জন্য কম খরচে ঘর, সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

করোনা নিয়ে আতঙ্কের আবহেই নতুন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে ম্যাসাচুসেটস্ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। তারা বলেছে, প্রতিষেধক বার না-হলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ভারতে দিনে তিন লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। পরিস্থিতির বদল না-হলে আমেরিকা ও ব্রাজিলকে ছাপিয়ে আক্রান্ত দেশগুলির তালিকার শীর্ষে পৌঁছে যাবে ভারত। আগামী সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে দেশে করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ হতে পারে। ৮৪টি দেশে সমীক্ষা চালিয়ে ভারতের জন্য এই উদ্বেগজনক পূর্বাভাস দিয়েছে এমআইটি-র স্লোয়ান স্কুল অব ম্যানেজমেন্ট। তবে এই পূর্বাভাসকে গুরুত্ব দিতে নারাজ দেশের চিকিৎসক, বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের যুক্তি, অঙ্ক কষে একটা সংখ্যা বলা হয়েছে। ভবিষ্যতে সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণে আরও পদক্ষেপ করবে। বাড়বে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র, প্লাজ়মা থেরাপির মতো চিকিৎসাও। আরও কোভিড হাসপাতাল হবে। তাঁদের মতে, এই ধরনের সমীক্ষায় মানুষ অযথা আতঙ্কিত হয়ে পড়তে পারেন।

দেশে দ্রুত হারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, কোভিড-১৯ রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠার সংখ্যাটা অবশ্য স্বস্তি দিচ্ছে। সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগীর সংখ্যা অ্যাক্টিভ আক্রান্তের তুলনায় বেশি। এখনও পর্যন্ত সাড়ে চার লক্ষের বেশি মানুষ করোনার কবল থেকে মুক্ত হয়েছেন। আক্রান্তের ৬১.৫৩ শতাংশই সুস্থ হন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৮৮২ জন। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, কাল, বৃহস্পতিবার, বারাণসীর বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। লকডাউনে খাবার বিলি-সহ নানা সমাজসেবামূলক কাজ করেছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন