চরবৃত্তির দায়ে ধৃত সমাজবাদী নেতার সহকারী

পাকিস্তানি চর-চক্রের তদন্তে এ বার জড়াল রাজনীতিকের নামও। গত কাল রাতে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ মুনাব্বর সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী ফারহাত আখতারকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:০৫
Share:

ধৃত পাক গুপ্তচর ফারহাত।

পাকিস্তানি চর-চক্রের তদন্তে এ বার জড়াল রাজনীতিকের নামও। গত কাল রাতে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ মুনাব্বর সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী ফারহাত আখতারকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। সমাজবাদী সাংসদ জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে চর-চক্রের কোনও যোগ পাওয়া গেলে সপরিবার আত্মহত্যা করবেন।

Advertisement

বুধবার দিল্লি চিড়িয়াখানায় পাক হাইকমিশনের কর্মী মেহমুদ আখতার ও দুই ভারতীয় মৌলানা রমজান ও সুভাষ জাঙ্গিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দাবি, সীমান্তে বিএসএফের গতিবিধি সংক্রান্ত গোপন নথি হস্তান্তরের সময়ে ওই তিন জনকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়েছে। এর পরে জোধপুর থেকে গ্রেফতার হয় শোয়েব নামে এক ভিসা এজেন্ট। সেও আখতারকে তথ্য সরবরাহ করত বলে অভিযোগ। মেহমুদকে বহিষ্কার করেছে ভারত সরকার। পাল্টা হিসেবে ইসলামাবাদে পাক হাইকমিশনের কর্মী সুরজিৎ সিংহকে বহিষ্কার করে ইসলামাবাদ।

গত কাল রাতে দিল্লিতে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ মুনাব্বর সেলিমের বাড়ি থেকে তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী ফারহাতকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশের একটি দল। পুলিশ সূত্রে খবর, মেহমুদ আখতারকে জেরা করেই ফারহাতের খোঁজ পান গোয়েন্দারা। মেহমুদ জানায়, পাক হাইকমিশনের পাঁচ জন কর্মী এই চর-চক্র চালাত। সে ছাড়াও এই দায়িত্বে ছিল সৈয়দ ফারুক, খাদিম হুসেন, শাহিদ ইকবাল ও ইকবাল চিমা। পুলিশের দাবি, ফারহাতকে তার ‘অন্যতম সহকারী’ বলে উল্লেখ করেছে মেহমুদ। সাংসদের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে ফারহাত কিছু গোপন নথির নাগাল পেয়েছিল। সেগুলি সে মেহমুদ আখতারকে পাচার করেছে। তবে কবে, কী ভাবে মেহমুদের সঙ্গে ফারহাতের যোগাযোগ হয় তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফারহাতকে জেরা করে চক্রের আরও কয়েক জন সদস্যের হদিস পাওয়া গিয়েছে। আজ ফারহাতকে ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত। বাকি তিন ধৃতের সঙ্গে বসিয়ে তাকে জেরা করতে চান গোয়েন্দারা।

Advertisement

২০১২ সালে উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভায় মনোনীত হন সেলিম। ফারহাতের গ্রেফতারির পরে একটি লিখিত বিবৃতি প্রকাশ করেছেন তিনি। তাতে সেলিম জানিয়েছেন, ফারহাত গত এক বছর ধরে তাঁর দফতরে কাজ করছে। সে আদতে উত্তরপ্রদেশের কইরানার বাসিন্দা। সেলিমের বক্তব্য, ‘‘ফারহাত আমাকে জানায়, সে আগে কইরানার এক প্রয়াত সাংসদ ও সমাজবাদী পার্টির সহকারী হিসেবে কাজ করত। আমার দফতরে যোগ দেওয়ার আগে পুলিশ তার সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছিল। চর-চক্রের সঙ্গে আমার কোনও যোগ পুলিশ খুঁজে পেলে সপরিবার আত্মহত্যা করব।’’

পুলিশ সূত্রের মতে, যে সব গোপন নথি পাক চরদের হাতে এসেছে তা নিরাপত্তাবাহিনী ও সরকারের কর্তাদের সাহায্য ছাড়া পাওয়া সম্ভব নয়। ফলে তদন্ত কোন পথে এগোবে এখনই তা বলা যাচ্ছে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement