Gyanvapi Masjid

Gyanvapi Masjid: ‘সত্য’ জানতে চায় সঙ্ঘ

সঙ্ঘ নেতারা সরাসরি মন্দির নির্মাণের দাবি না তুললেও, ‘প্রকৃত সত্য’কে সামনে আনার দাবিতে সরব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ মে ২০২২ ০৭:১৮
Share:

ফাইল ছবি

জ্ঞানবাপী মসজিদের ‘প্রকৃত সত্য’ সামনে আনার দাবিতে সরব হলেন সঙ্ঘ নেতৃত্ব। দলের প্রচারমাধ্যমের দায়িত্বে থাকা সুনীল অম্বেকরের কথায়, ‘‘জ্ঞানবাপীর ঘটনায় প্রকৃত সত্য সামনে আসা উচিত। তবে এ কথাও ঠিক, সত্য এক দিন সামনে আসেই।’’

Advertisement

অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাসের সঙ্গেই মন্দিরকেন্দ্রিক রাজনীতি জাতীয় ক্ষেত্রে গুরুত্ব হারিয়েছিল বলেই মত ছিল রাজনীতিকদের। ওই মন্দির নির্মাণের রাজনীতিকে নতুন করে উস্কে দিয়েছে জ্ঞানবাপীর সমীক্ষা। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশেই রয়েছে জ্ঞানবাপী মসজিদ। সম্রাট আওরঙ্গজ়েবের আমলে তৎকালীন মন্দিরের একাংশ ভেঙে ওই মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগ নিয়ে নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে বারাণসী আদালতের নির্দেশে জ্ঞানবাপী মন্দিরে হওয়া ভিডিয়োগ্রাফি সমীক্ষা। আদালতে জমা দেওয়া রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ওই মসজিদের ওজুখানার ফোয়ারায় শিবলিঙ্গের আকারের পাথর, দেওয়ালে শেষনাথ, ডমরু, ত্রিশূলের চিহ্ন রয়েছে। যা মূলত শিবের মন্দিরে দেখা যায়।

আগামী ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে হিন্দুত্বের প্রশ্নে ভোট কুড়াতে মাঠে নেমেছে বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার। বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা দেখে জ্ঞানবাপী পুনরুদ্ধারের প্রশ্নে আন্দোলনে নামবে দল। উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সাংসদ সঞ্জীব বালিয়ানের অবশ্য সাফ কথা, ‘‘জ্ঞানবাপী যে মন্দির ভেঙে তৈরি হয়েছিল, তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাম মন্দিরের মতো দেশের মানুষ চান, জ্ঞানবাপীতেও মন্দির প্রতিষ্ঠা হোক।’’

Advertisement

সঙ্ঘ নেতারা সরাসরি মন্দির নির্মাণের দাবি না তুললেও, ‘প্রকৃত সত্য’কে সামনে আনার দাবিতে সরব। সঙ্ঘ নেতারা জানেন, এক বার ওই মসজিদে হিন্দু মন্দিরের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেলে দেশ জুড়ে হিন্দুত্বকে উস্কে দিতে পথে নামা যাবে। সঙ্ঘের ওই নেতা সুনীলের কথায়, ‘‘সত্য রাস্তা খুঁজে নেয়। কত দিন তা চেপে রাখা সম্ভব? ঐতিহাসিক সত্যকে দেশবাসীর সামনে সঠিক পরিপ্রেক্ষিতে তুলে ধরার সময় এসে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন