সাবিত্রীবাঈ ফুলে।—ফাইল চিত্র।
এ মাসেই শুরু হচ্ছে কুম্ভমেলা। তা নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র আক্রমণ সাবিত্রীবাঈ ফুলের। তাঁর মতে, মেলা বসিয়ে, মন্দির গড়ে কিছু হবে না। বরং সংবিধানের সঠিক বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন। তাহলেই এগোবে দেশ।
মঙ্গলবার সাবিত্রী বলেন, ‘‘প্রাপ্য অধিকারের দাবিতে লড়ে যাচ্ছেন তপশিলি জাতি ও জনজাতি শ্রেণির মানুষ। কর্মসংস্থানের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন তাঁরা। কোথায় তাঁদের সাহায্য করবে তা নয়, কুম্ভমেলা ও মন্দিরের পিছনে কোটি কোটি টাকা ঢালছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। মেলা বা মন্দির হলে লাভ কী? তাতে কি তপশিলি জাতি, জনজাতি এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের পেট ভরবে?’’
প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারেনি যোগী সরকার। তাই মন্দির ও মেলার নামে মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছে বলেও অভিযোগ তোলেন সাবিত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আসলে যাবতীয় সমস্যা থেকে মানুষের নজর ঘোরাতে চায় সরকার। তাই মেলার পিছনে এত টাকা ঢালছে। কিন্তু এতে বিশেষ লাভ হবে না। কারণ একমাত্র সংবিধানের সঠিক বাস্তবায়নেই দেশের উন্নতি সম্ভব।’’ যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যের শাসনভার সামলানোর যোগ্য নন বলেও দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কংগ্রেসের সেই হারের সঙ্গে বিএনপির মহাবিপর্যয়ের তুলনা টানলেন হাসিনা
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবিমার কার্ড পৌঁছে গিয়েছে বাংলায়, বিলি হতে দিচ্ছে না তৃণমূল! অভিযোগ বিজেপির
২০১৪ সালে বিজেপি-র হয়ে বাহরাইচ লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন সাবিত্রীবাঈ ফুলে। কিন্তু বিভিন্ন বিষয়ে দলের সঙ্গে মতবিরোধ শুরু হয় তাঁর। বিশেষ করে দলিত এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারের দাবি নিয়ে। তার জেরে ৬ ডিসেম্বর দল থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। তার পর থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনেছেন তিনি।