National News

তফসিলি আইন বিতর্কে তপ্ত রাজস্থান, দুই দলিত নেতার বাড়িতে আগুন

দেশজোড়া দলিত বিক্ষোভের পরের দিনই হামলা হল রাজস্থানের এক দলিত বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন দলিক বিধায়কের বাড়িতে। দু’জনের বাড়িতেই মঙ্গলবার আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জয়পুর শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৮ ২২:০৫
Share:

দলিত সংগঠনগুলির ডাকা বন্‌ধের দিনে আগুন জ্বলেছিল রাজস্থানের বিভিন্ন এলাকায়। মঙ্গলবার ফের আগুন জ্বলল, তবে এ বার হিংসা দলিতদের বিরুদ্ধে। ছবি: পিটিআই।

দেশজোড়া দলিত বিক্ষোভের পরের দিনই হামলা হল রাজস্থানের এক দলিত বিধায়ক এবং এক প্রাক্তন দলিক বিধায়কের বাড়িতে। দু’জনের বাড়িতেই মঙ্গলবার আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

Advertisement

করৌলী জেলার হিণ্ডৌন শহরে এই ঘটনা ঘটেছে। প্রায় হাজার পাঁচেক লোক একসঙ্গে হামলা চালায় বলে করৌলীর জেলাশাসক অভিমন্যু কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন। এলাকার বর্তমান বিধায়ক তথা বিজেপি নেত্রী রাজকুমারী জাটভের বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। আগুন লাগানো হয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা ভরোসিলাল জাটভের বাড়িতেও। ভরোসিলাল কংগ্রেস আমলে রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন।

তফসিলি জাতি-উপজাতির উপর অত্যাচার প্রতিরোধের জন্য যে আইন রয়েছে, তার অপপ্রয়োগ রুখতে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছে। সেই রায়ের বিরোধিতায় সোমবার ভারত বন্‌ধের ডাক দিয়েছিল একাধিক দলিত সংগঠন। বন্‌ধকে ঘিরে বিভিন্ন রাজ্য উত্তাল হয়ে ওঠে। রাজস্থানের বিভিন্ন অংশেও ছড়িয়ে পড়েছিল হিংসার আঁচ। হিণ্ডৌন শহরে বহু দোকানে দলিত বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর চালান বলে অভিযোগ।

Advertisement

আরও পড়ুন: দলিত ইস্যুতে উত্তাল সংসদ, ধর্নায় তৃণমূলও

আরও পড়ুন: তফসিলি আইন প্রয়োগে বিধিনিষেধ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট

সোমবারের ভাঙচুরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার মিছিল বার করেছিলেন হিণ্ডৌনের ব্যবসায়ীরা। তথাকথিত উচ্চবর্ণের লোকজনও সে মিছিলে সামিল হন। সেই মিছিল থেকেই বিধায়ক ও প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে হামলা হয় বলে জানা গিয়েছে। রাজস্থান পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) এন আর কে রেড্ডি জানিয়েছেন, শহরের যে অংশে তফসিলি জাতি বা উপজাতি-ভুক্ত সম্প্রদায়ের বাস, সেই অংশে ঢোকার চেষ্টা চালিয়েছিল এই মিছিল।

হিংসাত্মক হয়ে ওঠা জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠি চালায়। কাঁদানে গ্যাস এবং রাবার বুলেট ছোড়ে। করৌলীর পুলিশ সুপার অনিল কয়াল জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের অগ্নিসংযোগ এবং হিংসাত্মক ঘটনায় ৪০ জনকে আটক করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন