এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
স্কুলের ভিতরেই দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল গুজরাতে! অভিযোগ, স্কুলের বাগানে নিয়ে গিয়ে চেতনানাশক ইঞ্জেকশন দিয়ে সাত বছরের খুদেকে দু’বার ধর্ষণ করেছেন এক যুবক। খবর প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন সূত্রে খবর, দিন দুয়েক আগে গুজরাতের মেহসানা জেলার বিজাপুরে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, স্কুল ক্যাম্পাসের ভিতরেই সাত বছরের এক ছাত্রীকে দু’বার ধর্ষণ করা হয়। প্রথমে ১৯ নভেম্বর তাঁকে স্কুলের পিছনের বাগানে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করেন এক যুবক। ঘটনার কথা কাউকে বললে প্রাণে মারারও হুমকি দেন। পর দিন, অর্থাৎ ২০ নভেম্বর তাকে ভয় দেখিয়ে ফের একই জায়গায় নিয়ে যান অভিযুক্ত। অভিযোগ, শিশুটিকে আচ্ছন্ন করার জন্য তার ডান হাতে ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়।
এর পর থেকেই পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় ওই বালিকার। তখনই মেয়েটির বাবা-মা গোটা বিষয়টি জানতে পারেন। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই খুদে। শিশুটির পরিবারের তরফে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে শনিবার জানিয়েছে পুলিশ। বিজাপুর থানার ইন্সপেক্টর জিএ সোলাঙ্কি বলেন, ‘‘আমরা যৌন অপরাধ থেকে শিশু সুরক্ষা আইন (পকসো)-এর অধীনে এফআইআর দায়ের করেছি। তদন্ত চলছে। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিশুটিকে ঠিক কিসের ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল, তা জানার জন্য মেডিক্যাল রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।’’