ছত্তীসগঢ়ে যৌথবাহিনী। —ফাইল চিত্র।
মাওবাদী উপদ্রুত বস্তারে অবুঝমাঢ়ের জঙ্গলে ঘেরা প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে ‘শিক্ষাদূত’ হিসাবে কাজ করতেন তিনি। আদিবাসী গ্রামগুলিতে ঘুরে সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করতেন। সেই সঙ্গে চলত শিক্ষাদান পর্ব।
সুকমা জেলার জাগারগুন্ডা থানার অন্তর্গত সিলগার গ্রামের বাসিন্দা সেই নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক লক্ষ্মণ বরসেকে ‘পুলিশের চর’ তকমা দিয়ে কুপিয়ে খুন করল মাওবাদী জঙ্গিরা। পুলিশ সূত্রের খবর, রাতে গ্রামে ঢুকে লক্ষ্মণকে তাঁর বাড়ি থেকে টেনে বার করে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র জঙ্গিরা। পরিবারের সদস্যেরা বাধা দিলে তাঁদের মারধর করা হয়।
এর পরে ওই স্কুলশিক্ষককে ‘পুলিশের চর’ তকমা দিয়ে গণআদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়ে। পিটিয়ে, কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। গত এক বছরে বস্তার ডিভিশন জুড়ে যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে মাওবাদীরা। সেই সঙ্গে বাড়ছে ‘পুলিশের চর’ তকমা দিয়ে শিক্ষক খুনের প্রবণতাও। গত ১৪ জুলাই সুকমার পার্শ্ববর্তী বিজাপুর জেলার ফারসেগড় এলাকায় ‘পুলিশের চর’ তকমা দিয়ে মাওবাদীরা দুই শিক্ষাদূতকে হত্যা করেছিল। ১৯শে ফেব্রুয়ারি, একই কারণে পার্শ্ববর্তী দান্তেওয়াড়া জেলায় একজন শিক্ষাদূত-সহ দু’জনকে হত্যা করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে সুকমা জেলার ওই এলাকাতেই দুড়হী অর্জুন নামে এক শিক্ষাদূতকে মাওবাদীরা খুন করেছিল। প্রসঙ্গত, শিক্ষাদূতেরা হলেন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক। যাঁদের বস্তারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষকতা করার জন্য ছত্তীসগঢ় সরকারের তরফে নিয়োগ করা হয়।