বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। — ফাইল চিত্র।
ভারত-পাক দ্বন্দ্বের মধ্যে নিরাপত্তা বাড়ল বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, জয়শঙ্করের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে তাঁর জন্য দু’টি গুলিনিরোধক (বুলেট প্রুফ) গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি, দিল্লিতে তাঁর বাসভবনের বাইরেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এর পরেই শুরু হয়েছে জল্পনা, তবে কি কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা থেকেই তড়িঘড়ি এমন সিদ্ধান্ত নিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক?
ভারতের বিদেশমন্ত্রী হিসাবে জয়শঙ্কর এমনিতেই জ়েড স্তরের নিরাপত্তা পান। এটি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা বলয়। বিদেশমন্ত্রীর সুরক্ষায় সর্বক্ষণের জন্য মোতায়েন রয়েছে ৩৩ জন সিআরপিএফ কমান্ডোর একটি দল। এ ছাড়াও থাকেন ২২ জন নিরাপত্তারক্ষী, যার মধ্যে ৪-৫ জন এনএসজি কমান্ডো এবং স্থানীয় পুলিশও। কমপক্ষে একটি গুলিনিরোধক গাড়িও দেওয়া হয়। এ ছাড়াও থাকে কনভয়ের এসকর্ট গাড়ি।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২০২৩ সালে জয়শঙ্করের উপর হামলা হতে পারে এই আশঙ্কায় তাঁর নিরাপত্তা ওয়াই স্তর থেকে বৃদ্ধি করে জ়েড স্তরে উন্নীত করা হয়েছিল। গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত খবরের ভিত্তিতে সে সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাসভবনে ১২ জন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল। পাশাপাশি, ছিলেন ছয় জন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তা (পিএসও), তিন শিফটে মোতায়েন করা ১২ জন সশস্ত্র এসকর্ট কমান্ডো, তিন জন প্রহরী। সর্ব ক্ষণের জন্য উপস্থিত ছিলেন তিন জন প্রশিক্ষিত ড্রাইভারও।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ভিআইপি বা ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা প্রদান করে। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে মূলত ৬ ভাগে ভাগ করা যায়। ‘এক্স’, ‘ওয়াই’, ‘ওয়াই প্লাস’, ‘জ়েড’, ‘জ়েড প্লাস’ এবং ‘এসপিজি’ বা ‘স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ’। যাঁর জীবন যতটা ঝুঁকিপূর্ণ, তাঁর জন্য তত নিবিড় নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদ, হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, প্রথম সারির রাজনীতিক এবং শীর্ষ আমলারা সাধারণত এই চার স্তরের নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন।