Jammu and Kashmir

আটক করা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণ জম্মু-কাশ্মীরের থানায়! মৃত অনেকে

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির একটি দল পুলিশের সঙ্গে বিস্ফোরক পদার্থ পরীক্ষা করছিলেন। সেই সময় আচমকা বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে থানাটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৫ ০২:০৭
Share:

নমুনা পরীক্ষা করার সময় বিস্ফোরণ নওগাম থানায়। ছবি: সংগৃহীত।

বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল জম্মু-কাশ্মীরের একটি থানা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে ফরিদাবাদ থেকে কিছু অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করে আনে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। শুক্রবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের নওগাম থানায় ওই বিস্ফোরক দ্রব্যের নমুনা পরীক্ষা করার সময়েই বিস্ফোরণটি ঘটে। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অনেকে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির একটি দল পুলিশের সঙ্গে বিস্ফোরক পদার্থ পরীক্ষা করছিলেন। সেই সময় আচমকা বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে থানাটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গুরুতর আহতদের সেনাবাহিনীর ৯২ বেস হাসপাতাল ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে, ঊর্ধ্বতন পুলিশ আধিকারিকেরা নওগাম থানায় পৌঁছোন। সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে।

শ্রীনগরের নওগামে জইশ-ই-মহম্মদ-এর পোস্টারই ছিল সূত্র। সেই সূত্র ধরেই তদন্তে নামে নওগাম থানার পুলিশ। উন্মোচিত হয় সন্ত্রাসবাদের ফরিদাবাদ মডিউল। সোমবার হরিয়ানার ফরিদাবাদে জইশ-ই-মহম্মদ এবং আনসার গজওয়াতুল হিন্দ-এর একটি বড় চক্র ভেঙে দেওয়ার পরে পুলওয়ামায় ব্যাপক অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। গ্রেফতার করা হয় পুলওয়ামার কৈল এলাকার চিকিৎসক মুজ়াম্মিল শাকিল ওরফে মুসাইব-সহ বেশ কয়েক জনকে। তদন্তদকারীদের মতে, ধৃতেরা ‘হোয়াইট কলার জঙ্গি নেটওয়ার্কের অংশ’। যাঁরা সামাজিক ও পেশাগত পরিচয়কে আড়াল হিসেবে ব্যবহার করে উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় সন্ত্রাসবাদীকাজের জন্য অর্থ সংগ্রহ, তরুণদের নিয়োগ করত।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত সোমবার দিল্লির অদূরে হরিয়ানার ফরিদাবাদে ৩৬০ কেজি আরডিএক্স তৈরির মশলা (অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট) উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানায়, উত্তর ভারতের বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে মোট ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ওই দিন সন্ধ্যাতেই দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে দাঁড়ানো গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। মৃত্যু হয় ১৩ জনের। এই দুই ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা-ই এখন খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে এনআইএ-সহ একাধিক তদন্তকারী সংস্থা। চলছে ধরপাকড়। যে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়েছিল, তার চালক উমর মহম্মদের মায়ের ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয়েছে। বিস্ফোরণস্থল থেকে পাওয়া দেহাংশ শনাক্ত করতেই উমরের মায়ের ডিএনএ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে খবর।

ইতিমধ্যেই ফরিদাবাদের ‘ডক্টর মডিউল’-এর এক সদস্য তথা চিকিৎসক মুজফ্‌ফর রাথরের খোঁজে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। সূত্রের খবর, মুজফ্‌ফরের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি করার জন্য ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হচ্ছে তারা। দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে ধৃতদের সূত্র ধরেই মুজফ্‌ফরের নাম উঠে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

পাশাপাশি, দিল্লির লালকেল্লার কাছে বিস্ফোরণের তদন্তে উপত্যকা জুড়ে শুক্রবার ভোররাত থেকে তল্লাশি চালিয়ে মোট ২৫ জনকে গ্রেফতার করেছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। দিল্লির বিস্ফোরণে দক্ষিণ কাশ্মীর থেকে জঙ্গি সংগঠন কলকাঠি নেড়েছে বলে তদন্তে উঠে এসেছে। সেই সূত্রেই আজ পুলিশের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কাশ্মীর (সিআইকে) শাখা অভিযানটি চালায়। বাজেয়াপ্ত করা হয় মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ-সহ বিভিন্ন রকমের ২১টি ডিজিটাল ডিভাইস। সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। সিআইকে-র নানা দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ধৃতদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement