Suicide

‘আর্থিক বিপর্যয়’! মোদীর রাজ্যে বাবা, মা, স্ত্রী, তিন শিশুসন্তানকে বিষ খাইয়ে মেরে আত্মঘাতী ব্যবসায়ী

সুরাতের পাল‌নপুর জাকাটনাকের বাড়িতে সিলিংয়ের ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে মণীশের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাকি ছ’জনকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

সুরাত শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০৫
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

একই পরিবারের সাত জনের দেহ উদ্ধার হল গুজরাতের সুরাতে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, পরিবারের ছয় সদস্যকে বিষ খাইয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন গৃহকর্তা মণীশ সোলাঙ্কি। ঘটনাস্থল থেকে মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও। সেই নোটে মণীশ ‘আর্থিক বিপর্যয়’-এর কথা উল্লেখ করেছেন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন মণীশ, তাঁর স্ত্রী রীতা, বাবা কানু, মা শোভা এবং তিন সন্তান দিশা, কাব্য, কুশল। সুরাতের পাল‌নপুর জাকাটনাকের বাড়িতে সিলিংয়ের ফ্যান থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে মণীশের দেহ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, বাকি ছ’জনকে বিষ খাওয়ানো হয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, মণীশের আসবাবপত্রের ব্যবসা রয়েছে। তাঁর অধীনে ৩৫ জন কর্মী কাজ করেন। শনিবার সকালে মণীশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন কর্মীরা। কিন্তু ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি। বাড়ি এসে দরজায় ধাক্কা দিলেও পরিবারের কেউ খোলেননি। এর পরেই বাড়ির পিছনের জানলা ভেঙে সেখানে ঢোকেন স্থানীয়েরা। দেখতে পান, পরিবারের সাত সদস্যের ঝুলন্ত দেহ। থানায় খবর দেওয়া হলে হাজির হয় পুলিশ। সাত জনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুরাত পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রাকেশ বারোত জানান, পরিবারের সাত জন আত্মঘাতী। ছ’জন বিষ খেয়েছেন। এক জন গলায় দড়ি দিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোটও মিলেছে। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, আর্থিক সমস্যার কারণেই আত্মঘাতী তাঁরা। তদন্ত চলছে।

Advertisement

দেশে বিভিন্ন প্রান্তে অর্থনৈতিক উন্নয়নের ‘মডেল’ রাজ্য হিসাবে গুজরাতকে তুলে ধরা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সেই রাজ্যেই ‘আর্থিক বিপর্যয়’-এর কারণে পরিবারের সকলকে মেরে আত্মঘাতী এক ব্যবসায়ী। রাজ্য সরকারের ক্ষেত্রে বিষয়টি অস্বস্তির।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন