— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর থেকেই স্বল্পমেয়াদি ভিসায় ভারতে বসবাসকারী পাকিস্তানি নাগরিকদের বহিষ্কার করেছে ভারত সরকার। যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় এ দেশে বসবাস করছেন, তাঁদের উপরেও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সেই আবহেই এ বার জানা গেল, উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদে দীর্ঘমেয়াদি ভিসায় কয়েক দশক ধরে বাস করছেন ২২ জন পাকিস্তানি মহিলা। সব মিলিয়ে অন্তত ১০০ জন সন্তান রয়েছেন তাঁদের। রয়েছেন দু’জন পুরুষও, যাঁরা আদতে পাক নাগরিক। এঁদের বেশির ভাগই ভারতীয়দের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পাকিস্তান থেকে এ দেশে এসেছিলেন। সেই থেকে এই ২৪ জনের ঠিকানা মোরাদাবাদ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ২৪ পাক নাগরিক বহু বছর ধরে মোরাদাবাদে বসবাস করছেন। ২২ জন মহিলার অন্তত ৯৫ জন সন্তান রয়েছেন। সন্তানদের বেশির ভাগই এখন প্রাপ্তবয়স্ক। কেউ কেউ বিয়েও করেছেন। প্রায় ৩৫ শতাংশ মহিলা এখন প্রৌঢ়ত্বে পৌঁছেছেন। সন্তান এবং নাতি-নাতনিদের নিয়ে এই পরিবারগুলির সদস্যসংখ্যা ৫০০ জনেরও বেশিতে গিয়ে ঠেকেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনের দাবি।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারতে বসবাসকারী পাক নাগরিকদের ২৭ এপ্রিলের মধ্যে দেশে ফেরার নির্দেশ দেয় কেন্দ্র। পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়। দীর্ঘমেয়াদি ভিসা এবং কূটনৈতিক ভিসার ক্ষেত্রে অবশ্য এই নিয়ম কার্যকর হয়নি। তবে এই ২২টি পরিবারের যাবতীয় পরিচয়পত্র ও নথি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবারের সকলের বর্তমান পেশা এবং পাকিস্তানে আত্মীয়দের সঙ্গে পারিবারিক যোগাযোগের বিষয়টিও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ২৪ জনের সকলেরই ভারত সরকারের দেওয়া রেশন কার্ড এবং আধার কার্ড রয়েছে, যার ফলে তাঁরা জনকল্যাণমূলক নানা সুবিধা পেতে পারেন। তা সত্ত্বেও, এত দিনেও কেউ ভারতীয় নাগরিকত্ব পাননি। কয়েক দশক ধরে দীর্ঘমেয়াদি ভিসার কল্যাণেই ভারতে বসবাস করছেন তাঁরা। ওই ২২ জন মহিলার পাক নাগরিকত্ব থাকলেও তাঁদের সন্তানেরা সকলেই ভারতীয় নাগরিকত্ব অর্জন করেছেন। এ বিষয়ে মোরাদাবাদের পুলিশ সুপার (শহর) কুমার রণবিজয় সিংহ বলেন, ‘‘এ নিয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। সব তথ্য খতিয়ে দেখা হবে।’’