দুর্ঘটনার পর একটি বাসের অবস্থা। শনিবার সকালে জম্মু ও কাশ্মীরের রামবনে। ছবি: পিটিআই।
অমরনাথ যাত্রায় দুর্ঘটনা। আহত হলেন অন্তত ৩৬ জন পুণ্যার্থী। তবে কারও আঘাত তেমন গুরুতর নয় বলে জানা গিয়েছে। শনিবার সকালে পুণ্যার্থীদের একটি দল কয়েকটি বাসে জম্মুর ভগবতী নগর থেকে অমরনাথের উদ্দেশে রওনা দেন। কড়া নিরাপত্তায় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক ধরে এগোচ্ছিল বেশ কয়েকটি বাসের একটি কনভয়। পুণ্যার্থীদের প্রাতরাশ করানোর জন্য রামবন জেলার চান্দেরকূটের কাছে বাসগুলি দাঁড়ানোর কথা ছিল। সেই সময় কনভয়ের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনের বাসে ধাক্কা মারে। এই ভাবে পর পর চারটি বাসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। চোট-আঘাত পান ওই বাসগুলিতে থাকা পুণ্যার্থীরা।
রামবনের এসএসপি কুলবীর সিংহ জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর বাস থেকে নামিয়ে যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। তবে তিন-চার জনের আঘাত কিছুটা গুরুতর বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশকর্তা। তিনি বলেন, “তিন চার জন হয়তো আর যেতে পারবেন না।” ওই যাত্রীদের ইতিমধ্যেই রামবন জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষস্থানীয় আধিকারিকেরা।
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছিল, বাসগুলি জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক ধরে দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে যাচ্ছিল। সেখান থেকে পুণ্যার্থীরা হাঁটা পথে যেতেন অমরনাথ গুহায়। প্রসঙ্গত, এ বারের ৫২ দিনের অমরনাথ দর্শন পর্ব চলবে দু’টি যাত্রাপথে। অনন্তনাগের ৪৮ কিলোমিটারের নুনওয়ান-পহেলগাঁও এবং এবং গান্ডেরওয়ালের ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পুরনো বালতালের পথে। আগামী ১৯ অগস্ট পর্যন্ত চলবে অমরনাথ তীর্থযাত্রা। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন এবং ‘অমরনাথ তীর্থস্থান বোর্ড’ সূত্রের খবর, দু’টি যাত্রাপথেই থাকছে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা।