Delhi Blast

দিল্লির বিস্ফোরণ কি আত্মঘাতী হানা? খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল, মৃতের সংখ্যা ৮, হরিয়ানার গাড়ি, জনৈক সলমনের নামে রেজিস্ট্রেশন

বিস্ফোরণের পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় দমকলের অন্তত ২০টি ইঞ্জিন। দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তার পরেই ঘটনাস্থলে একে একে পৌঁছোয় এনএসজি, এনআইএ, ফরেন্সিক দল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ২২:২৮
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

লালকেল্লার সামনে সিগন্যালে একটি গাড়ি ধীর গতিতে এসে থামতেই বিস্ফোরণ ঘটে! এমনই জানাল দিল্লি পুলিশ। গাড়িটি ছিল হুন্ডাইয়ের আই২০। প্রথমে মনে করা হয়েছিল দিল্লির লালকেল্লা মেট্রোর পার্কিংলটে দাঁড়ানো গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে। তবে পরে দিল্লি পুলিশ বিষয়টি স্পষ্ট করে। বিস্ফোরণের অভিঘাত এতটাই ছিল যে আশপাশের অন্তত ২২টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

দিল্লির পুলিশ কমিশনার সতীশ গোলচা সাংবাদিকদের জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে একটি ছোট গাড়ি গতি কমিয়ে লাল সিগন্যালে দাঁড়ায়। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ফলে বেশ কয়েক জন আহত হন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ঘটনা নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান সতীশ।

সূত্রের খবর, আই২০ গাড়িটির নম্বরপ্লেট হরিয়ানার। মহম্মদ সলমন গাড়ির মালিক। তাঁর নামে রেজিস্ট্রেশন। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গাড়ির নম্বর HR 26 CE 7674 । সূত্রের খবর, সলমন পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, গাড়িটি তিনি তারেক নামে পুলওয়ামার এক বাসিন্দার কাছে বিক্রি করেছিলেন। তবে কাগজপত্রে এখনও নাম পরিবর্তন হয়নি। দিল্লি পুলিশ এ ব্যাপারে হরিয়ানা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। দিল্লি পুলিশের একটি দল হরিয়ানায় যেতে পারে বলেও খবর। বিস্ফোরণের নেপথ্যে নাশকতা জড়িয়ে রয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। আত্মঘাতী বোমা হামলার তত্ত্বও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।

Advertisement

বিস্ফোরণের পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় দমকলের অন্তত ২০টি ইঞ্জিন। দমকলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তার পরেই ঘটনাস্থলে একে একে পৌঁছোয় এনএসজি, এনআইএ, ফরেন্সিক দল। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করার কাজ চলছে।

সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, লালকেল্লার কাছে সুভাষ মার্গ সিগন্যালে একটি চারচাকা গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। শাহের কথায়, ‘‘আমি দিল্লির সিপি এবং স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চের প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে যা উঠে আসবে, সব প্রকাশ করা হবে জনসমক্ষে।’’ তিনি ঘটনাস্থলে যাবেন বলে জানিয়েছেন। প্রথমে তিনি লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে যান। সেখানেই আহতদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। কথা বলেন চিকিৎসকদের সঙ্গেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement