প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের পরে সমাজমাধ্যমে প্রতিক্রিয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ‘পরিস্থিতি পর্যালোচনা’র বার্তা দিলেন। এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘আজ সন্ধ্যায় দিল্লিতে বিস্ফোরণে যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতেরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে সরকার রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহজি এবং অন্যান্য আধিকারিকের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি।’’ শোক প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘দিল্লিতে বিস্ফোরণে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবার ও বন্ধুদের আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’’
লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে লিখেছেন, ‘‘দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের খবরটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং উদ্বেগজনক। এই মর্মান্তিক ঘটনায় বহু নিরীহ মানুষের প্রাণহানি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এই মর্মান্তিক সময়ে যারা তাদের প্রিয়জনদের হারিয়েছে, আমি সেই শোকাহত পরিবারগুলির পাশে রয়েছি এবং আমার গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমি আশা করি আহতেরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।’’
দিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এক্স পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘নয়াদিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের খবরে আমি মর্মাহত। এই ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই। আহতেরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এই কামনা করি।’’ দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টি (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালও পাঠিয়েছেন শোকবার্তা। প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ নাগাদ দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে বিস্ফোরণের ঘটে। প্রাথমিক ভাবে এটিকে সন্ত্রাসবাদী হামলা বলেই মনে করা হচ্ছে। লালকেল্লার অদূরেই চাঁদনি চক এলাকায় মেট্রো স্টেশনের সামনে ওই বিস্ফোরণে এখনও পর্যন্ত আট জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন।