(বাঁ দিকে) আহমেদ আল-শারা এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আল কায়দায় তাঁর পরিচিতি ছিল আবু মহম্মদ আল-জুলানি নামে। ওসামা বিন লাদেন, আয়মান আল-জাওয়াহিরিরা প্রায় দু’দশক আগে আল কায়দার ইরাকি শাখার তৎকালীন প্রধান আবু মুসাব আল জারকোয়াইয়ের ‘ডেপুটি’র দায়িত্ব দিয়েছিলেন তাঁকে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ক্ষমতা দখলের পরে জুলানি নাম বলেন আহমেদ আল-শারা হয়ে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এ বার তিনি ওয়াশিংটনে গিয়ে বৈঠক করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে।
হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, সোমবার রাতে (ভারতীয় সময়) ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন আল-শারা। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধে অভিযান, গণবিধ্বংসী রাসায়নিক অস্ত্র নষ্ট করে দেওয়া এবং সিরিয়ার গৃহযুদ্ধপর্বে নিখোঁজ মার্কিন নাগরিকদের অনুসন্ধানের বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করতে পারেন বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। গত ৭ নভেম্বর সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আল-শারার উপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। তার আগে জুলাই মাসেই ওয়াশিংটন স্বীকৃতি দিয়েছিল তাঁর সরকারকে। ১৯৪৬ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর এ বার সিরিয়ার কোনও প্রেসিডেন্ট প্রথম আমেরিকা সফরে যাচ্ছেন।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে সিরিয়ায় সুন্নি জঙ্গিগোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনীর হাতে রাজধানী দামাস্কাস দখল এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটেছিল। আসাদ সপরিবার পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন মিত্র দেশ রাশিয়ায়। এইচটিএস প্রধান আল-শারা অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। সেই গৃহযুদ্ধপর্বে এইচটিএস বাহিনীকে ধারাবাহিক মদত দিয়েছিল আমেরিকার নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট নেটোর সদস্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোগানের সরকার। চলতি বছরের মে মাসে সৌদি আরবের রিয়াধে মার্কিন ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন আল-শারা। সেখানেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি মিলেছিল। এ বার ট্রাম্পের ‘আতিথ্য’ গ্রহণ করতে চলেছেন আল-শারা। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে এইচটিএস রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিল। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ছিলেন আল-শারা এবং তাঁর নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস খত্তারও। দু’জনের উপর থেকেই গত সপ্তাহে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।